Hitapadesh story

‘Hitapadesh story’. It is written by Pandit Narayan Sharma. The Bengali version of the Panatantra is the Hitapadesh. There are 5 parts in Pantantra and 4 parts in Hitapadesh. The divisions are – Mitralava, Suhudabheda, Vigraha and Sandhi. The stories of Panatantra are very similar to the first two parts. The story of Patantra is also scattered in the other two parts. Pandit Narayan has narrated some new stories in his own style.

In friendship there is a new friendship between strangers, in friendship there is annihilation of friendship, in a treaty there is a way and coexistence of animosity, and in war there is war, conflict and admonition. For example, the anecdote of Birbar is the notable story of this idol. Readers are truly amazed at how Prince Birbar sacrificed his life to protect King Shudrak. In Bengal, the reading of the present Hitapadeshya Mitralabh is very much going on. Many ethical parts from Kamandakiya ethics have been included in this text. Raja Dhabal Chandra was the patron saint of Pandit Narayan Sharma.

হিতােপদেশ গল্পগ্রন্থ(Hitapadesh story)

পতন্ত্রের অনুকরণে অপর একখানি গল্পগ্রন্থ হল ‘ হিতােপদেশ ’ । এটি পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার লেখা । পঞতন্ত্রের যে বঙ্গদেশীয় সংস্করণ সেটিই হল হিতােপদেশ । পঞতন্ত্রে আছে ৫ টি ভাগ আর হিতােপদেশে দেখা যায় ৪ টি ভাগ । ভাগগুলি হল — মিত্রলাভ , সুহূদভেদ , বিগ্রহ ও সন্ধি । প্রথম দুটি ভাগের সাথে পঞতন্ত্রের গল্পগুলির হুবহু মিল আছে । বাকি দুটি ভাগেও পতন্ত্রের গল্পও ইতস্ততঃ ছড়িয়ে আছে ।

কিছু কিছু নতুন গল্প নিজস্ব ভঙ্গিমায় বর্ণনা করেছেন পণ্ডিত নারায়ণ । মিত্রলাভে আছে অপরিচিতদের মধ্যে নতুন করে বন্ধুত্ব , সুহূদভেদে আছে বন্ধুত্বনাশ , সন্ধিতে আছে বৈরিতানাশের উপায় ও সহাবস্থান , আর বিগ্রহে আছে যুদ্ধ , দ্বন্দ্ব ও উপদেশমূলক নীতিবাক্য । যেমন বীরবরের উপাখ্যানটি হল এই বিগ্রহভাগের উল্লেখযােগ্য গল্প । কিভাবে রাজপুত্র বীরবর রাজা শূদ্রকের রাজ্যরক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করলেন তা পাঠকবর্গকে সত্যই বিস্মিত করে । বঙ্গদেশে বর্তমান হিতােপদেশীয় মিত্রলাভের পঠন – পাঠন খুব বেশি চলে ।

কামন্দকীয় নীতিসার থেকে বহু নীতিমূলক অংশ এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে । পণ্ডিত নারায়ণ শর্মার পৃষ্ঠপােষক ছিলেন রাজা ধবলচন্দ্র । কারণ রাজা ধবলচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন নারায়ণ শর্মা । গ্রন্থের শুরুতেই বলা হয়েছে যে পাটলিপুত্রের রাজা সুদর্শনের পুত্রগণের বিদ্যাশিক্ষার জন্য এই হিতােপদেশ গ্রন্থটি রচিত হয়েছে । এই গল্পগ্রন্থের ভাষা খুবই সহজ , কাহিনীও অতি দীর্ঘ নয় । ছােট ছােট ছেলেমেয়েদের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার ব্যাপারে এই গ্রন্থের কার্যকারিতা অসীম । এই গ্রন্থে ভট্টারকবারের উল্লেখ আছে । এই শব্দটি ৯০১ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বে ছিল না ।

সুতরাং এই গ্রন্থের মূল রূপটি খ্রীষ্টীয় নবম শতকে রচিত হয়েছিল বলে মনে করা যায় । আর শেষ সময়সীমা ১৩৭৩ খ্রীষ্টাব্দের পর নয় । কারণ উপলভ্যমান পুঁথিগুলির মধ্যে প্রাচীনতম পুঁথিটি এই সময়ে রচিত হয়েছিল।অবসর সময়ে পড়ার জন্য এই গল্পগন্থটি খুবই কার্যকর । ছােট ছােট ছেলেমেয়েরা বাড়ির বয়স্কদের কাছ থেকে নানারকম গল্প শুনতে ভালােবাসে । এই গ্রন্থটি সেই উদ্দেশ্য সিদ্ধ করবে নিশ্চয়ই । তাছাড়া পশুপক্ষীদের স্বভাব , চরিত্র , আচার – আচরণ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা যায় এই গ্রন্থ থেকে । গ্রন্থকার পশুপক্ষীর মুখ দিয়ে এই সমাজের বিভিন্ন স্বভাবের মানুষের একটা পরিচয় জানাতে চেয়েছেন । ছােটদের কাছে তাই গ্রন্থটির প্রয়ােজনীয়তা অনেক ।

আরও পডুনঃ পঞ্চতন্ত্র গল্পগ্রন্থ

Leave a comment