India’s independence day (1947, 15th august); a special best day ভারতের স্বাধীনতা লাভ

India’s independence day : During the Second World War of India, India’s division and independence, the political situation of India became increasingly tormented. The failure of the cripes mission, 42’s revolution and Azad Hind Forces’ campaign, etc. In the event of the end of the imperialist British rule in India, inevitably. The consequence of it. The British government tried to hand over power. Congress and League started in the center of the desired power. In this way, the efforts of powerfulness on one side and on the other hand, the mutual riots centered on him – through the introduction of India, India came to the global independence.

ভারত বিভাগ ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Indian Division and India’s independence day)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অশান্ত হয়ে ওঠে। ক্রীপস মিশনের ব্যর্থতা, ৪২ – এর বিপ্লব ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর অভিযান প্রভৃতি ঘটনাবলী ভারতে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের অবসানকে অবশ্যম্ভাবী করে তােলে। এর পরিণতি স্বরূপ। ব্রিটিশ সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে সচেষ্ট হন। কাঙ্খিত এই ক্ষমতালাভকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও লীগের মধ্যে শুরু হয় তীব্র দ্বন্দ্ব। এই ভাবে একদিকে ক্ষমতালাভের প্রচেষ্টা এবং অন্যদিকে তাকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক দাঙ্গা – হাঙ্গামার মধ্যে দিয়ে ভারতবাসী ক্রমশ স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়।

[1] ক্লীপস মিশনের আগমন (Arrival of Clips Mission) :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ের সংকটজনক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ – আলােচনার জন্য ব্রিটিশ – মন্ত্রীসভার সদস্য ও শ্রমিকদলের নেতা স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্লীপসকে ভারতে পাঠালেন ( মার্চ , ১৯৪২ খ্রীঃ )।কিন্তু ক্রীপ মিশন কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ উভয় দলকেই সন্তুষ্ট করতে পারল না, কারণ ক্রীসের প্রস্তাবে ভারতকে স্বাধীনতাদানের কোনও উল্লেখ ছিল না।

[২] ভারত – ছাড়াে ( আগষ্ট ) আন্দোলন (India – In addition to (August) movement):

ক্রীপ – মিশন ব্যর্থ হওয়ায় ভারতবাসীর মনে হতাশার সৃষ্টি হল। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ শাসকবর্গকে ব্রিটিশদের অবিলম্বে ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরােধ জানান। গান্ধিজির প্রস্তাব অনুসারে কংগ্রেস ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই আগস্ট ভারত ছাড়াে’প্রস্তাব গ্রহণ করল। এই আন্দোলন আগস্ট আন্দোলন বা ভারত ছাড়াে আন্দোলন নামে পরিচিত।

ব্রিটিশ সরকার কঠোর হাতে আন্দোলন দমনে উদ্যত হওয়ায় ভারতীয় রাজনীতিতে এক জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস বেআইনী ঘােষিত হল এবং নেতৃবৃন্দ কারারুদ্ধ হলেন। অন্যদিকে সরকারের সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বে মুসলিম লীগ নিজস্ব শক্তিবৃদ্ধিতে উৎসাহিত হল।

[3] লীগের সাম্প্রদায়িক নীতি (League communal policy) :

ইতিমধ্যে মহম্মদ আলি জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ ভারতীয় রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী ধারণা সঞ্চারে লিপ্ত হয়। তিনি দ্বি – জাতিতত্ত্ব প্রসূত পাকিস্তান প্রস্তাব অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রচার করে চললেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে গান্ধি কারামুক্ত হয়ে জিন্নাহর সঙ্গে আলােচনায় বসলেন কিন্তু জিন্নাহ গান্ধিজির অখণ্ড ভারতের পরিকল্পনা অগ্রাহ্য করলেন। তিনি ভারতীয় মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের দাবির স্বীকৃতি চাইলেন। এই অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হল।

[4] ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার সূচনা (Start of the process of transferring power) :

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হওয়ার পর ভারতীয় রাজনীতিতে অস্থিরতা ও অচলাবস্থা দেখা দিলে ব্রিটিশ সরকার ধীরে ধীরে ভারতীয়দের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়।

ওয়াভেল পরিকল্পনা ( সিমলা সম্মেলন, জুন ১৯৪৫ ) : অশান্ত ভারতের সমস্যা সমাধানের জন্য বড়লাট লর্ড আর্কিল্ড ওয়াভেল এক পরিকল্পনার কথা ঘােষণা করেন। ‘ওয়াভেল পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত এই পরিকল্পনার মূল ধারাগুলি ছিল :

(i) ভারতের নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

(ii) বড়োেলাটের কার্যনির্বাহক পরিষদে বর্ণহিন্দু ও মুসলমান সদস্যদের সংখ্যা সমান করা হবে।

(iii) একমাত্র বড়লাট ও প্রধান সেনাপতি ছাড়া পরিষদের আর সব সদস্যই ভারতীয় হবেন এবং যতদিন ভারতের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকারের হাতে থাকবে, ততদিন সামরিক দপ্তরের যাবতীয় ভার ব্রিটিশদের হাতেই থাকবে।

সিমলা বৈঠক ( জুন ১৯৪৫ ) : ওয়াভেল প্রস্তাব নিয়ে আলাপ আলােচনার জন্য ১৯৪৫ সালের জুন মাসে সিমলায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়। এই বৈঠকে জিন্না দুটি শর্ত আরােপ করেন , যেমন :

(i) বড়ােলাটের পরিষদের সব মুসলিম সদস্য মুসলিম লীগ থেকেই নিতে হবে।

(ii) পাকিস্তান প্রস্তাব কার্যকর করা এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার জন্য বড়লাট প্রয়ােজনে ভেটো দিতে পারবেন। কিন্তু জিন্নার এই প্রস্তাব কংগ্রেস এবং শিখ ও হরিজন সম্প্রদায় সমর্থন না করায় সিমলা বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়।

[5] ব্রিটিশমন্ত্রী মিশন (British minister mission):

দেশব্যাপী অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলীভারতে একটি মন্ত্রী মিশন’পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার তিনজন বিশিষ্ট সদস্য স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্লীপস, এ . ভি . আলেকজান্ডার ও ভারত সচিব স্যার পেথিকলরেন্স ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ভারতে আসেন। এই মিশনের প্রধান প্রধান সুপারিশগুলি ছিল :

(i) ভারতে একটি যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হবে। দেশীয় রাজ্যগুলি পরে এই যুক্তরাষ্ট্রে যােগ দিতে পারবে।

(ii) কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হবে।

(iii) ভারতের অঙ্গ রাজ্যগুলিকে মােট তিনটি শ্রেণিতে চিহ্নিত করা হবে, যেমন : (ক) হিন্দু-প্রধান রাজ্যসমূহ (খ) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ (গ) বাংলা ও অসম। এই তিনটি শ্রেণিতে গােষ্ঠীবদ্ধ প্রদেশগুলির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য একটি গণ-পরিষদ গঠিত হবে।

(iv) নতুন সংবিধান অনুসারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ইচ্ছে করলে কোনাে প্রদেশ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে পারবে।

(v) যতদিন না নতুন সংবিধান রচিত হচ্ছে, ততদিন একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠিত হবে।

[6] অন্তর্বর্তী সরকার গঠন (The formation of the interim government) :

পরবর্তী সময় লর্ড ওয়াভেল কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহরুকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য অনুরােধ করলে কংগ্রেস সম্মতি জানায়। এই ঘটনায় উত্তেজিত ও ক্রুদ্ধ মুসলিম লীগ প্রত্যক্ষ সংগ্রাম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।অন্যত্রও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ )। কিছুদিনের মধ্যে মুসলিম লীগ বড়ােলাটের অনুরােধে এই সরকারে যােগদান করলেও কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ সদস্যগণ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে অক্ষম হন। ফলে সরকারি প্রশাসনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

[7] এটলীর ঘােষণা :

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক্সী ঘােষণা করলেন যে, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসের মধ্যে ইংরেজ ভারত ত্যাগ করবে এবং ঐ সময়ের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে হবে। এই ঘােষণার অল্পদিন পরেই লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতের বড়ােলাট পদে নিযুক্ত হলেন ( মার্চ ১৯৪৭ )।

[ 8 ] মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা (Mountbatten plan) :

এই সময় ভারতে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলােচনার পর মাউন্টব্যাটেন তার ভারত বিভাগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপিত করেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ রা জুন এই পরিকল্পনা ঘােষিত হয়। মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা অনুসারে স্থির হয় যে-

(i) ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলির জনগণ একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র স্থাপন করতে পারবে। এরজন্য পৃথক গণপরিষদ গঠিত হবে।

(ii) দেশ বিভক্ত হলে বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশ দুটিও ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হবে।

(iii) উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ভবিষ্যৎ গণভােটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

(iv) বিভক্ত বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি কমিশন গঠিত হবে।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা সমর্থন করে। কংগ্রেস জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে ভারত বিভাগের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও নেহরু ভারত বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের শেষদিক থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকলাপে। অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় তারা অনুভব করলেন যে, মুসলিম লীগের সঙ্গে থেকে এক সঙ্গে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এইভাবে নানান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হল, কিন্তু অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতার প্রত্যাশা অপূর্ণ থেকে গেল।

[9] ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস ( Indian Independence Day) :

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই জুলাই ব্রিটিশ সংসদ ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুমােদন করে । এই আইনের দ্বারা ঠিক হয় যে :

(i) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট থেকে ভারত দ্বি-খণ্ডিত হয়ে দুটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

(ii) সিন্ধু, বেলুচিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ব বাংলা নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হবে।

( iii ) অবশিষ্ট ব্রিটিশ ভারত নিয়ে ভারতীয় ডােমিনিয়ন গঠিত হবে।

(iv) ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশ কমনওয়েলথ-এর মধ্যে থেকে রাষ্ট্রীয় স্বায়ত্তশাসন পাবে।

(v) দুই দেশের গণপরিষদ নিজেদের সংবিধান রচনা করবে। জুলাই মাসে ব্রিটিশ সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন গৃহীত হয়। এই আইনের ভিত্তিতে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন ধার্য করা হল।

[10] ভারতের স্বাধীনতা লাভ ও দেশ বিভাগ (India’s independence day and country division) :

এরপর এলাে সেই নির্দিষ্ট তারিখ ১৫ ই আগস্ট। ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাত্রে দিল্লিতে গণপরিষদের অধিবেশন বসে। এই পরিষদ ব্রিটিশ কমনওয়েলথ-এর অংশ হিসাবে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা ঘােষণা করে এবং সেই সঙ্গে প্রায় দুইশত বৎসরের বিদেশি শাসনের অবসান হয।

এই ভাবে অবিভক্ত স্বাধীনতা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষ ভারত ও পাকিস্তান এই দুই পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত হল। স্বাধীন ভারতের গভর্নর জেনারেল হলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এবং মহম্মদ আলি জিন্না হলেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর জেনারেল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দৃঢ়তায় ও চেষ্টায় ভারতের সঙ্গে ভৌগােলিকভাবে সংলগ্ন দেশী রাষ্ট্রগুলি শেষ পর্যন্ত ভারত ইউনিয়নে যােগ দেয়।

আপাতদৃষ্টিতে জিন্না সফল হলেও এবং পাকিস্তান আন্দোলন জয়যুক্ত হলেও জিন্না কাঁটার মুকুট পরেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সমগ্র বাংলা ও পাঞ্জাব আত্মসাৎ করতে, কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকে ধর্মের ভিত্তিতে শুধুমাত্র ভারত বিভাগ নয়, বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাগই মেনে নিতে হয়েছিল। তাই বিবর্ণ, বিদীর্ণ ও আংশিক পাকিস্তান নিয়েই তিনি মুসলিম জাতীয় রাষ্ট্রের স্রষ্টা হলেন। সুতরাং দেখা যায়, মুসলিম লীগ অনুসৃত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সম্মুখে এক নিদারুণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এবং ভারতীয় রাজনীতিকে জটিল ও মারাত্মক করে তুলেছিল।

আরও পড়ুনঃ মহাত্মা গান্ধী

Leave a comment