Natural plant in Asia

Natural plant in Asia :Different types of natural plants are found to grow in different climatic zones for different climates in different parts of the Asian continent. This continent is worth mentioning Plants are: (a) Equatorial plants: In the equatorial climate of Southeast Asia, hardwood evergreen forests are predominant. [i] Forest trees are very tall, their tops can be seen according to Chadwar. However, this forest is not very dense. [ii] Various parasitic ferns, orchids, numerous lianas, etc., spread far and wide. [i] Many plants congregate together as it rains throughout the year. [iv] Coastal areas are dominated by mangroves and almond and coconut plants. [v] Notable plants of this region Flower mahogany, rosewood, iron wood, rubber, cocoa, ebony, camphor, ebony, bamboo etc.

(B) Seasonal Evergreen Plants: The predominance of moist evergreen forest is predominant in areas with high rainfall in the monsoon climate. [i] This forest is not dense in terms of equatorial evergreen forest. Plant density varies with rainfall and altitude. [i] Roaring, Chaplas, Ebony, Tun, Pun, Shishu, Bamboo etc. are notable plants of this forest.

এশিয়া মহাদেশে স্বাভাবিক উদ্ভিদ(Natural plant in Asia):

এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশে জলবায়ুর বৈচিত্র্যের জন্য বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায়। এই মহাদেশের উল্লেখযােগ্য স্বাভাবিক উদ্ভিদ হল-

(ক) নিরক্ষীয় উদ্ভিদ দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে কঠিন চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমির প্রাধান্য দেখা যায়।

[i] বনভূমির গাছগুলি খুব লম্বা হয়, এদের শীর্ষভাগ চাদোয়ার মতাে দেখতে হয়। তবে এই বনভূমি খুব ঘন হয় না।

[ii] বিভিন্ন পরাশ্রয়ী ফার্ন, অর্কিড, অসংখ্য লিয়ানা প্রভৃতি গাছগুলিকে আশ্রয় করে বহু উপরে বিস্তৃত হয়।

[iii] সারা বছর ধরে বৃষ্টিপাত হয় বলে একত্রে বহু উদ্ভিদের সমাবেশ ঘটে।

[iv] উপকূল অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ এবং বাদাম ও নারকেলজাতীয় উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়।

[v] এই অঞ্চলের উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ ফুল মেহগনি, রােজউড, আয়রন উড, রবার, কোকো, আবলুস, কপুর, এবনি, বাঁশ প্রভৃতি।

(খ) মৌসুমি চিরহরিৎ উদ্ভিদ : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত এলাকায় আর্দ্র চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমির প্রাধান্য দেখা যায়।

[i] নিরক্ষীয় চিরহরিৎ বনভূমির মতাে এই বনভূমি ঘন নয়। বৃষ্টিপাত ও উচ্চতার তারতম্যে উদ্ভিদের ঘনত্বের তারতম্য দেখা যায়।

[i] গর্জন, চাপলাস, আবলুস, তুন, পুন, শিশু, বাঁশ প্রভৃতি এই বনভূমির উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ।

(গ) মৌসুমি পর্ণমােটী উদ্ভিদ : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের যেসব এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 0-15m, সেই সব এলাকায় বড়াে পাতাযুক্ত পর্ণমােচী বনভূমির প্রাধান্য দেখা যায়।

[i] এই বনভূমি অধিক বিস্তৃত এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের একত্রে সমাবেশ দেখা যায়।

[ii] শাল, সেগুন, পলাশ, মহুয়া, চন্দন, অর্জুন, তুত প্রভৃতি এই বনভূমির উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ।

(ঘ) মৌসুমি কাটাযুক্ত ঝােপঝাড় : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে 50cm- র কম বৃষ্টিপাতযুক্ত এলাকায় কাটাযুক ঝােপঝাড়ের প্রাধান্য দেখা যায়। বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার তারতম্যে উদ্ভিদের উচ্চতার তারতম্য ঘটে।

[i] স্বল্প বৃষ্টিপাত ও অধিক বাষ্পীয়ভবনের জন্য বৃক্ষগুলির কাণ্ড কাটা ও মােমযুক্ত পদার্থের দ্বারা আবৃত থাকে।

[ii] বাবলা, খেজুর, ফণিমনসা, স্পাইসিজেরা, জুলিফ্লোরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদ।

(ঙ) মরু উদ্ভিদ : উয় মরু অঞ্চল এবং নাতিশীতােয় মরু ও মরু প্রায় জলবায়ু অঞ্চলে মরু উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়। যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 25cm- র কম, সেইসব অঞ্চলে কাঁটাযুক ঝােপঝাড় ও বিক্ষিপ্ত বামনাকার উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়। আরও স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়।

(চ) পার্বত্য উদ্ভিদ : মধ্যএশিয়ার পার্বত্য জলবায়ু অঞ্চলে উচ্চতার তারতম্যে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের প্রাধান্য দেখা যায়।

[i] অধিক বৃষ্টিবহুল পার্বত্য ঢলে স্বল্প উচ্চতায় চিরহরিৎ ও অপেক্ষাকৃত শুষ্ক পার্বত্য ঢালে পর্ণমােচী উদ্ভিদ জন্মায়।

[ii] অধিক উচ্চতায় বিভিন্ন ধরনের সরলবর্গীয় উদ্ভিদের সমাবেশ দেখা যায়।

[iii] বিচ, ওক, হেমলক, চেস্টনাট, পাইন, বার্চ প্রভৃতি এই অঞ্চলের উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ।

[iv] 3000 মিটারের অধিক উচ্চতায় ভুজ, জুনিপার প্রভৃতি উদ্ভিদ ও তৃণভূমি দেখা যায়।

[v] (400) মিটারের অধিক উচ্চতায় বৃক্ষরেখা পর্যন্ত অঞ্চলে আল্পীয় তৃণভূমি জন্মায়।

(ছ) ভূমধ্যসাগরীয় উদ্ভিদ : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে যে বিশেষ ধরনের বনভূমির প্রাধান্য দেখা যায় তাকে ভূমধ্যসাগরীয় বনভূমি বলে।

[i] গ্রীষ্মকাল শুষ্ক ও শীতকাল আর্দ্র হলেও এই বনভূমি চিরহরিৎ প্রকৃতির।

[ii] আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য উদ্ভিদগুলি বিশেষ অভিযােজন করে থাকে- এদের শেকড় মাটির বহু গভীরে বিস্তৃত হয়, কাণ্ড পুরু ছালে ঢাকা থাকে। পাতাগুলি পুরু ও মােমজাতীয় পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে, ফলগুলি রসে পূর্ণ থাকে।

[iii] কর্ক ওক, জলপাই, আঙ্গুর, অলিভ প্রভৃতি এই বনভূমির উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ।

(জ) মিশ্র সরলবর্গীয় ও পর্ণমােচী উদ্ভিদ : মারিয় জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন সরলবর্গীয় ও পর্ণমােচী উদ্ভিদের মিশ্র বনভূমি দেখা যায়। অতি শীতল শীতকাল ও স্বল্প আর্দ্র গ্রীষ্মকালে, সিলভার ফার, লাল পাইন, লার্চ, মাঞ্চুরিয়ান পাইন প্রভৃতি সরলবর্গীয় উদ্ভিদ এবং ওক, অ্যাশ, অলডার, বীচ প্রভৃতি পর্ণমােচী উদ্ভিদ এই অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ।

(ঝ) শুষ্ক স্তেপ ও স্তেপ মরুভূমি উদ্ভিদ : স্তেপ তৃণভূমি জলবায়ু অঞ্চলে অতি স্বল্প বৃষ্টিপাত ও চরম জলবায়ুর জন্য বিস্তীর্ণ তৃণভূমির সৃষ্টি হয়েছে। একে স্তেপ বলে।

(ঞ) সরলবর্গীয় উদ্ভিদ : সাইবেরিয় জলবায়ু অঞ্চলে ছুঁচালাে পাতাযুক্ত মােচার ন্যায় সরল উদ্ভিদকে সরলবর্গীয় উদ্ভিদ বলে।

[i] এরূপ উদ্ভিদের বৃক্ষের কাণ্ড দীর্ঘ ও ঋজু হয়। কোনাে কোনাে বৃক্ষ 100 মিটারের বেশি উঁচু হয়।

[ii] বৃক্ষের কাঠ খুব নরম হয়।

[iii] বৃক্ষগুলি ফাঁকা। ফাঁকা জন্মায় এবং একজাতীয় বৃক্ষ একই স্থানে বেশি দেখা যায়।

[iv] পাইন, ফার, সুস, লার্চ, চিরপাইন, দেওদার পাইন, বামন পাইন প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য উদ্ভিদ। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে উইলাে, বার্চ, পপলার, হেমলক প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।

(ট) তুন্দ্রা উদ্ভিদ : তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলে অতি শীতল জলবায়ু ও স্বল্প সৌরতাপের জন্য শৈবাল, মস, ছােটো ঘাস প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়। স্বল্প গ্রীষ্মকালে ভ্যালােরিয়ান, থাইম, হেলবাের, লতা উইলাে প্রভৃতি ফুল ও গুল্ম জন্মায়। দক্ষিণ সীমায় বামনাকার উইলাে, বার্চ প্রভৃতি বৃক্ষ জন্মাতে দেখা যায়।

আরও পডুনঃ এশিয়া মহাদেশের নদ নদী সম্পর্কে

Leave a comment