আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement

 

আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement
আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement 


সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement




আইন অমান্য আন্দোলনের কারণ | Cause of Civil Disobedience Movement   

❏ সাইমন কমিশনের ব্যর্থতাঃ- অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পরবর্তীকালে জাতীয় আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সাইমন কমিশন নিয়োগের ফলে পুনরায় সারা দেশ জুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।


ভারতবাসীদের শাসনতান্ত্রিক কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য এই কমিশন গঠিত হলেও কোনো ভারতীয়কে এই কমিশনে স্থান দেওয়া হয়নি। ফলে ভারতবাসী এই ঘটনাকে জাতীয় অপমান বলে মনে করেছিল।


  অর্থনৈতিক দুরাবস্থাঃ- ১৯২০ -র দশক থেকেই ভারতের অর্থনৈতিক দুর্দশা বাড়তে থাকে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ভারতকেও স্পর্শ করেছিল। ভূমিরাজস্বের হার বৃদ্ধি, কলকারখানার শ্রমিক ছাঁটাই প্রভৃতি ঘটনার ফলে ভারতের কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের অবস্থাও শোচনীয় হয়ে ওঠে। কৃষক ও শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘট ও সত্যাগ্রহ করে।


কলকাতা কংগ্রেসের ঘোষণাঃ- এই পরিস্থিতিতে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেস ঘোষণা করে যদি এক বছরের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতকে নেহরু রিপোর্ট অনুযায়ী ডোমিনিয়ন স্টেটাসের মর্যাদা দেয় তবে কংগ্রেস তা গ্রহণ করবে নতুবা পূর্ণ স্বাধীনতার দাবী গ্রহণ করা হবে। বড়োলাটের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিরোধিতায় তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। গান্ধিজি এ সময়ে মন্তব্য করেন পূর্ণ স্বরাজের জন্য সংগ্রাম অবশ্যম্ভাবী।


❏ আন্দোলনের সিদ্ধান্তঃ-  কংগ্রেসের দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে (ডিসেম্বর, ১৯২৯ খ্রি) কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজের দাবি গ্রহণ করে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে জানুয়ারি গান্ধিজি 'ইয়ং ইন্ডিয়া’ পত্রিকায় ১১ দফা দাবি পেশ করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাতে কর্ণপাত না করায় কংগ্রেস কার্যনির্বাহী সমিতি ১৪ ই থেকে ১৬ ই ফেব্রুয়ারি গুজরাটের সবরমতী আশ্রমে এক সম্মেলনে গান্ধিজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।


আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহারের কারণঃ- ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই আগস্ট পুনরায় গান্ধিজিকে কারারুদ্ধ করলে তিনি আবার জেলে অনশন শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবে জনগণের মনও আন্দোলন অপেক্ষা গাধিজির জীবনরক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। আবার ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে বিহারে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আন্দোলন অপেক্ষা ত্রাণকার্য পরিচালনা করা ছিল প্রধান কাজ। এমতাবস্থায় ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই এপ্রিল কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।



Previous Post Next Post