মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali

মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali
মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali।




মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali

❏ মহাবীরের পরিচয়:-

● জন্ম – ৫৪০ খ্রিস্টপূর্ব, বৈশালীর কুন্দপুর গ্রামে

● পিতা – সিদ্ধার্থ

● মাতা –  ত্রিশলা

● পত্নী – যশোদা

● কন্যা – প্রিয়দর্শনা

● ধর্ম –  জৈন

● পূর্বসূরী – পার্শ্বনাথ

● প্রতীক – সিংহ

● মৃত্যু – ৪৬৮ খ্রিস্টপূর্ব, বিহারের রাজগীরের পাবাপুরী।

মহাবীর -এর জীবনী | Mahavir Biography in Bengali

❏ ভূমিকা:- বর্ধমান নামে পরিচিত শ্রী মহাবীর জৈন ২৪ তম অর্থাৎ শেষ তীর্থঙ্কর, যিনি জৈনধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে নতুন ভাবে প্রচার করে ছিলেন। অনেকের মতে তিনি গৌতম বুদ্ধ – এর সাথে সমসাময়িক অর্থাৎ পঞ্চম শতাব্দীতে তার আবির্ভাব ঘটেছিল।

❏ মহাবীরের জন্ম পরিচয়:-

আনুমানিক ৫৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বৈশালীর কুন্দপুর গ্রামে মহাবীর এই মহামানব জন্মগ্রহণ করেন।

❏ বর্ধমান মহাবীরের বংশ পরিচয়:-

মহাবীরের পিতা জ্ঞাত্রিক উপজাতির নেতা ছিলেন, তার নাম সিদ্ধার্থ এবং মাতা ছিলেন লিচ্ছবি বংশের রাজা চেতকের একমাত্র ভগিনী ত্রিশলা।

❏ মহাবীরের বিভিন্ন নাম:-

●(১) মহাবীর বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিলেন।ছেলেবেলায় মহাবীরের নাম ছিল ‘বর্ধমান’ (‘যিনি বৃদ্ধি পান, বৃদ্ধিশীল’)।

● (২) মহাবীর তার ছেলেবেলায় একাধিকবার মহান বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই তাকে ‘মহাবীর’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল।

● (৩) মহাবীরকে ‘জিন’ (‘আসক্তি, অহংকার, লোভ প্রভৃতি অন্তঃপ্রবৃত্তিগুলি যিনি জয় করেছেন’) নামেও চিহ্নিত করে অনেকে। এবং পরবর্তীকালে ‘জিন’ উপাধিটি ‘তীর্থঙ্কর’ নামের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়।

● (৪) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলিতে মহাবীরকে ‘নিগন্থ জ্ঞাতপুত্ত’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে। ‘নিগন্থ’ শব্দের অর্থ ‘যাঁর বন্ধন, পিছুটান বা রজ্জু কিছুই নেই’। এবং ‘জ্ঞাতপুত্ত’ শব্দটি তার ‘জ্ঞাত’ বা ‘নয়’ (প্রাকৃত) নামক বংশ-নামের দ্যোতক।

● (৫) অনেকে মহাবীরকে ‘শ্রমণ’ (‘অনুসন্ধানকারী’) নামেও অভিহিত করে থাকেন।

❏ বর্ধমান মহাবীরের প্রাথমিক জীবন:-

রাজপুত্র মহাবীর খুবই বিলাসব্যসনের মধ্যে বড়ো হয়েছিলেন।

(১) শ্বেতাম্বর ধর্মগ্রন্থ আচারাঙ্গ সূত্র -এর দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে জানা যায় তার পিতামাতা ছিলেন পার্শ্বনাথের অনুগামী ও জৈন সন্ন্যাসীদের ভক্ত।

(২) কিছু জৈন সম্প্রদায়ের মধ্যে তার বিবাহ প্রসঙ্গ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। দিগম্বর সম্প্রদায়ের মত অনুযায়ী, মহাবীরের পিতামাতা চেয়েছিলেন, তিনি যেন যশোদাকে বিবাহ করেন। কিন্তু মহাবীর তাতে রাজি হয়নি।

(৩) শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের মতানুসারে, মহাবীর অল্প বয়সে যশোদাকে বিবাহ করেন এবং প্রিয়দর্শনা নামে তাদের একটি কন্যাসন্তান ছিল।

❏ মহাবীরের সন্ন্যাস জীবন:-

৩০ বছর বয়সে বর্ধমান মহাবীর তার রাজকীয় জীবনের সুখ পরিত্যাগ করে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অনুসন্ধানে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন।

❏ কঠোর তপস্যায় মহাবীর:-

মহাবীর অশোক বৃক্ষের নিচে কঠোর তপস্যা শুরু করেন। তাঁর কঠিন পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় আচারাঙ্গ সূত্র গ্রন্থ থেকে।

❏ বর্ধমান মহাবীরের দিব্যজ্ঞান লাভ:-

প্রায় সাড়ে ১২ বছর কঠোর তপস্যা করার পর ৪৩ বছর বয়সে একটি শাল গাছের তলায় মহাবীর ‘কেবল জ্ঞান’ (সর্বজ্ঞতা বা অনন্ত জ্ঞান) প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

❏ মহাবীরের ভারত পরিভ্রমণ:-

দিব্যজ্ঞান লাভ করার পর ৩০ বছর ধরে মহাবীর সারা ভারত পরিভ্রমণ করেছিলেন এবং নিজের দর্শন শিক্ষা দান করেন। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, মহাবীরের ১৪০০০ সন্ন্যাসী, ৩৬০০০ সন্ন্যাসিনী, ১৫৯০০০ শ্রাবক বা গৃহস্থ এবং ৩১৮০০০ শ্রাবিকা বা গৃহস্থ নারী অনুগামী ছিল বলে জানা যায়।

❏ বর্ধমান মহাবীরের অনুগামী রাজা:-

মহাবীরের অনুগামী রাজন্যবর্গের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মগধ -এর রাজা শ্রেণিক বা বিম্বিসার ও অজাতশত্রু, বিদেহের রাজা চেতক, মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, কলিঙ্গ রাজ খারবেল প্রমুখ রাজা গণ।

❏ মহাবীরের মোক্ষলাভ:-

জৈনরা বিশ্বাস করতেন যে, ৪৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৭২ বছর বয়সে পাবাপুরীতে (অধুনা বিহারে অবস্থিত) মহাবীর মোক্ষ (জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি) লাভ করেছিলেন।

❏ মহাবীরের মোক্ষ স্থলে জল মন্দির:-

এই মহামানব মহাবীর যেখানে মোক্ষ লাভ করেছিলেন বলে মনে করা হয় বর্তমানে সেখানে জল মন্দির নামে একটি জৈন মন্দির স্থাপিত হয়েছে।

❏ মহাবীরের মূর্তিতত্ত্ব:-

সমস্ত জায়গায় মহাবীরকে সাধারণত উপবিষ্ট বা দণ্ডায়মান অবস্থাতেই চিত্রিত করা হয়। তার নিচে থাকে তার প্রতীক চিহ্ন সিংহ।

❏ জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে মহাবীর:-

মহাবীরের জীবন অবলম্বনে রচিত হয়েছে "মহাবীর : দ্য হিরো অফ ননভায়োলেন্স" নামে একটি সচিত্র ছোটোদের গল্প।

❏ জৈন ধর্মমত ও মহাবীর:-

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে যে প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলন শুরু হয় এর ফলে প্রচলিত বৈদিক ধর্মের বিরুদ্ধে যেসব ধর্মমতের উদ্ভব হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল জৈন ধর্ম।

❏ জৈনধর্মে তীর্থঙ্কর ও মহাবীর:-

(১) জৈনধর্মে একজন তীর্থঙ্করকে (নদী পারাপারের কর্তা বা শিক্ষক ঈশ্বর) একটি ‘তীর্থে’র প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়ে থাকে। ‘তীর্থ’ বলতে বোঝায় জন্ম ও মৃত্যুর অনন্ত সমুদ্র (যাকে ‘সংসার’ বলা হয়) যার মধ্যে দিয়ে পারাপারের জন্য সৃষ্ট অগভীর পথ।

❏ জৈন ধর্মের প্রবর্তক মহাবীর সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাস্য?

১. মহাবীর কার নিকট সন্ন্যাস ধর্ম গ্ৰহণ করেছিলেন?

উত্তর:- গোসাল।

২. মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেছিলেন?

উত্তর:- পাবাপুরী।

৩. মহাবীর কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

উত্তর:- বৈশালীর কুন্দপুর গ্রামে।

৪. মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেছিলেন?

উত্তর:- পাবাপুরীতে।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post