সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ও পুণা চুক্তি | Communal Partition Policy and the Poona Pact . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ও পুণা চুক্তি | Communal Partition Policy and the Poona Pact।
সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ও পুণা চুক্তি | Communal Partition Policy and the Poona Pact
❏ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (Communal partition policy): একদিকে যখন আইন অমান্য আন্দোলন ভারতের জাতীয় রাজনীতিকে উদ্বেলিত করে তুলেছিল, তখন অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকার লন্ডনে গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতে ধর্ম ও বর্ণগত বিভেদকে প্ররোচিত করার জন্য ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই আগস্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (Communal Award) নীতি ঘোষণা করলেন।
এই নীতি অনুসারে মুসলিম, শিখ, ভারতীয় খ্রিস্টান, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়। এমনকী হিন্দু সমাজের অঙ্গীভূত অনুন্নত বা তফশিলী সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সরকারের এই ধরনের বিভেদনীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলে।
❏ পুণা চুক্তি (১৯৩২ খ্রিঃ) (Poona Pact): ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড যে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন তা ছিল ভারতবাসীর মধ্যে জাতি, ধর্ম ও বর্ণগত প্রভেদকে বাড়িয়ে তোলার একটি অপকৌশল। অন্যদিকে গান্ধিজি ছিলেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ এ-সবের ঊর্ধ্বে। তিনি আপামর ভারতবাসীর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে দৃঢ় সঙ্কল্প ছিলেন। আইন অমান্য আন্দোলনের ফলে গান্ধিজি এই সময় পুণার জারবেদা জেলে বন্দি ছিলেন। সাম্প্রদায়িক ভেদ-নীতির বিরুদ্ধে গান্ধিজি ২০ শে সেপ্টেম্বর ( ১৯৩২ ) আমরণ অনশন শুরু করলেন।
এই অনশনের ফলে গান্ধিজির জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু সমাজের উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণ শ্রেণির নেতারা পারস্পরিক আলাপ আলোচনায় বসলেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, এই সময় ভারতের অনুন্নত সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতা ডঃ ভীমরাও রামজী আম্বেদকর (১৮৯১-১৯৫৬ খ্রিঃ) সাম্প্রদায়িক সংকট নিরসনে বিশিষ্ট ভূমিকা নেন। এর আগে ডঃ আম্বেদকর গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করে অনুন্নত স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে আপসহীন মনোভাব গ্রহণ করেন।
কিন্তু এই অবস্থায় ডঃ আম্বেদকর গান্ধিজির সঙ্গে দেখা করলেন এবং অবশেষে মীমাংসা-সূত্র গৃহীত হল। ‘পুণা চুক্তি’ নামে পরিচিত এই চুক্তি অনুসারে অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। হিন্দুদের যৌথ নির্বাচনের সূত্র মেনে নেওয়া হল। তবে, অনুন্নত শ্রেণির আসন সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেল। এই আসনগুলি অবশ্য তাদের জন্য সংরক্ষিত হল। প্রফুল্লচিত্তে গান্ধিজিও অনশন ত্যাগ করলেন (২৬ শে সেপ্টেম্বর)। পুণা চুক্তি গান্ধিজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে এবং তাঁর প্রচেষ্টায় হিন্দু সমাজে বিভেদ-নীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF
