বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification

 

বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification
বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification


সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification. প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification




বাক্যের সংজ্ঞা, গঠন ও শ্রেণীবিভাগ | Sentences Definition-Structure-Classification


বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কতকগুলি পদ পরপর বসে যখন বক্তার মনের ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।

বাক্যের উদাহরণ –

সন্ধ্যা হলে পাখিরা বাসায় ফেরে।
ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
জলে মাছ সাঁতার কাটে।



বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উত্তরঃ বাক্যকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলি হল উদ্দেশ্য ও বিধেয়।

বাক্যের উদ্দেশ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো একটি বাক্যে যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয় তাকে বাক্যের উদ্দেশ্য বলে।



বাক্যের বিধেয় কাকে বলে?

উত্তরঃ বাক্যে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা-কিছু বলা হয়ে থাকে তাকে বিধেয় বলে।

যেমন উদহারণ দিয়ে যদি বলা হয় –

১. ”ছাত্ররা স্কুলে যাচ্ছে“ এটি একটি বাক্য যার মধ্যে উদ্দেশ্য হচ্ছে ”ছাত্ররা“ এবং বিধেয় হচ্ছে ”স্কুলে যাচ্ছে“

আবার কোনো কোনো বাক্যের মধ্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় মিশে থাকে, বাক্যের প্রথম দিকে এবং শেষ দিকেও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যেমন-

১. যেমন “প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রটি চুপ করেছিল” এখানে ” ছাত্রটি “ হচ্ছে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় হচ্ছে “প্রশ্নের উত্তরে চুপ করে ছিল “।

এছাড়া বাক্য সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে, একটি হলো গঠনগত এবং অপরটি হল অর্থগত



গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার ও কি কি?

গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় – (১) সরল বাক্য (২) জটিল বাক্য এবং (৩) যৌগিক বাক্য

(১) সরল বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য বা কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে বলা হয় সরল বাক্য।

সরল বাক্যের উদহারণ –

(ক) ছেলেরা মাঠে বল খেলছে।
(খ) রাম রোজ বিদ্যালয় যায়।



(২) জটিল বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বাক্যে একটি প্রধান অংশ এবং এক বা একাধিক পরাধীন অংশ থাকে তাকে জটিল বাক্য বলা হয়ে থাকে।

জটিল বাক্য একটি স্বাধীন অংশ বা প্রধান অংশ এবং পরাধীন অংশ সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। এই সাপেক্ষ সর্বনাম বা অব্যয়গুলি হল – যে-সে, যেমন-তেমন, যদি-তবে, যেখানে-সেখানে, যেহেতু-সেহেতু, ইত্যাদি।

জটিল বাক্যের উদহারণ –

(ক) আমি যখন আসি তখন সে চলে যায়।
(খ) যেমন কর্ম তেমন ফল।
(গ) যে আগে যাবে সে প্রথম পাবে।



(৩) যৌগিক বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বাক্য দুই বা ততোধিক সরলবাক্য সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়ে থাকে।

যৌগিক বাক্যের উদহারণ –

(ক) সে রোগ কিন্তু শক্তিশালী।
(খ) বিদ্যালয়ে যাব এবং মন দিয়ে পড়া শুনবো।



অর্থ অনুসারে বাক্য কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ অর্থ অনুসারে বাক্যকে পাঁচভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। সেগুলি হল –

(১) নির্দেশক বাক্য
(২) প্রশ্নবোধক বাক্য
(৩) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
(৪) বিস্ময়সূচক বাক্য এবং
(৫) ইচ্ছাসূচক বাক্য

(১) নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বাক্যে বিষয় সম্পর্কে বিবৃতি বা বর্ণনা দেওয়া হয় তাকে নির্দেশক বাক্য বলা হয়ে থাকে।

নির্দেশক বাক্যের উদহারণ -

রাম ভালো ছেলে।
বসন্তে কোকিল ডাকে।
জঙ্গল এখানে ঘন নয়।

নির্দেশক বাক্যকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায় – ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক এবং নেতিবাচক বা না-সূচক।



ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক বাক্য কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছু স্বীকার করা হয়, তাকে ইতিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক বাক্য বলা বলা হয়ে থাকে। যেমন –

আজ খুব শীত।
বৃষ্টি নেমেছে মুষলধারে।

নেতিবাচক বা না-সূচক বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছু অস্বীকার করা হয়, তাকে নেতিবাচক বা না-সূচক বাক্য বলা হয়ে থাকে। না, নয় ইত্যাদি দ্বারা অস্বীকার করা বোঝায়। যেমন –

আজ দিনটা ভালো নয়।
সে এখন দিল্লিতে থাকে না।



প্রশ্নবোধক বাক্য কাকে বলা হয়?

যে বাক্যের দ্বারা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা বোঝায়, তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলা হয়। যেমন –

সে কি আসবে?
তুমি এখন খাবে কি?

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে?

যে বাক্যের দ্বারা আদেশ, নির্দেশ, অনুরোধ, উপদেশ, প্রভৃতি বোঝায় হয়, তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলা হয়। এই ধরণের বাক্যে উদ্দেশ্য বা কর্তা ‘তুমি‘, ‘তোমরা‘ প্রায় উহ্য থাকে। যেমন –

মন দিয়ে পড়াশোনা করো।
এখন বাড়ি যাও

বিস্ময়সূচক বাক্য কাকে বলে?

বিস্ময়সূচক বাক্য হলো, যে বাক্যের দ্বারা বিস্ময় বা আবেগ প্রকাশ করা হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বা আবেগসূচক বাক্য বলে। যেমন –

কি মজা!
এখানে কত সুখ!



ইচ্ছাসূচক বাক্য কাকে বলে?

যে বাক্যের দ্বারা বক্তার মনের কামনা, বাসনা, প্রার্থনা, ইচ্ছা, ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন –

তুমি সুখী হও।
তোমার যাত্রা শুভ হোক।
তোমার মনের ইচ্ছা পূরণ হোক।


Previous Post Next Post