সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary | Causes and Effects of Sepoy Mutiny of 1857

 

সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary | Causes and Effects of Sepoy Mutiny of 1857

সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary | Causes and Effects of Sepoy Mutiny of 1857 


সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary | Causes and Effects of Sepoy Mutiny of 1857  . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary | Causes and Effects of Sepoy Mutiny of 1857 ।




সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহের কারণ ও প্রভাব | 1857 সালের বিদ্রোহ: কারণ, প্রকৃতি, গুরুত্ব এবং ফলাফল | Sepoy Mutiny and Indian Mutiny summary      

সিপাহী বিদ্রোহকেই মহাবিদ্রোহ বলা হয়। এটি ভারতের ইতিহাসের জলবিভাজিকা নামে পরিচিত। ইংরেজদের বিরুদ্ধে একশ বছর ধরে জমে থাকা ক্ষোভ এই বিদ্রোহের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভারতে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে এটাই ছিল প্রথম বৃহত্তম গণ অভ্যুত্থান যেটা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।


❏ ❏ মহাবিদ্রোহের কারণ ❏ ❏ 

❏ রাজনৈতিক কারণ:

1. ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতি অর্থাৎ কোন রাজার পুত্র না থাকলে সে রাজ্য ইংরেজ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে এই নীতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন ভারতীয় রাজ্যগুলি গ্রাস করতে থাকে হলে রাজা এবং প্রজা উভয়ের মধ্যে ইংরেজদের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়।

2. ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের রাজা দের প্রতি ইংরেজরা অপমানজনক ব্যবহার করত এবং সেইসঙ্গে আরো কু কীৰ্তি আছে যেমন দিল্লির বাদসাহ কে তার প্রসাদ থেকে বহিষ্কার, অযোধ্যা ও নাগপুরে রাজপ্রাসাদ লুণ্ঠন নানা সাহেব এর পেশোয়া পদের বিলুপ্তি।


❏ সামাজিক কারণ :

1. ইংরেজ এবং ভারতীয়দের মধ্যে একটি সামাজিক বৈষম্য তৈরি করে।

2. ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজ শাসকদের ঘৃণা এবং অবজ্ঞা।

3. বিভিন্ন সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে ভারতীয়দেরকে বঞ্চিত করা।

4. হিন্দু - মুসলিম রক্ষণশীলতায় আঘাত করা।

5. এবং ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজি কর্মচারীদের ব্যভিচার অত্যাচার ইত্যাদি মানুষের মনে ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব তৈরি করে।


❏ অর্থনৈতিক কারণ :

1. দিনের পর দিন ভারতীয়রা কর্মহীন হয়ে পড়ে এবং তার পরেও তাদেরকে চড়া রাজস্ব দিতে বাধ্য করা হয়।

2. ভারতীয়দের জনসাধারণের যে কুটির শিল্প বা ছোট ছোট শিল্প ছিল সেগুলি প্রশাসন ধ্বংসের জন্য প্রচেষ্টা চালাই ফলে সাধারণ মানুষ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়।

3. ইংরেজরা ভারতীয়দের সম্পদকে যথেচ্ছভাবে লুণ্ঠন করতে থাকে এবং ইচ্ছা খুশিমতো শোষণ করতে থাকে।

❏ সামরিক কারণ :

1. ব্রিটিশ সামরিক অফিসাররা ভারতীদের সঙ্গে খুবই অভদ্র আচরণ করতো।

2. হিন্দু সিপাহিদের ধর্মীয় সংস্কার মতে সমুদ্রযাত্রা ছিল মানা কিন্তু তার পরেও তাদেরকে সমুদ্রযাত্রায় যেতে বাধ্য করত।

3. একই মানের সৈনিক হওয়ার পরেও ইংরেজদের মতো ভারতীয় সৈনিকরা সমান সুযোগ সুবিধা পেত না।

4. ভারতীয় সৈন্যদের ভাতা মাঝেমধ্যে ইচ্ছা খুশিমতো বন্ধ করে দেওয়া হত। ইত্যাদি কারণে ভারতীয় সৈন্যরা এবং তাদের পরিবার - পরিজন দের মনে ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব গড়ে ওঠে।


❏ ধর্মীয় কারণ :

1. খ্রিস্টধর্মের মিশনারীরা ভারতীয়দের কে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করে।

2. ভারতীয়দের ধর্মীয় রক্ষণশীলতার উপর তারা আঘাত করে।

3. বিভিন্ন রকম ধর্মীয় কর আরোপ করা হয় ভারতীয়দের প্রতি।


❏ প্রত্যক্ষ কারণ :

ইংরেজরা সমস্ত ভারতীয় সৈনিকদেরকে এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করতে দিত রাইফেলের গুলি বা টোটা দাঁতে কেটে বন্ধুকে ভরতে হত। সে সময়ে গুজব রটে যায় যে এই টোটাতে গরু এবং শুকরের চর্বি মেশানো আছে ফলে হিন্দু ও মুসলিম সৈন্যরা তা ব্যবহার করতে অস্বীকার করে। তারা মনে করে যে হিন্দু এবং মুসলিম দের ধর্মীয় আঘাত হানতে এই টোটার আমদানি করা হয়েছে। ফলে তাদের ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব চরম আকার ধারণ করে।


❏ ❏ বিদ্রোহের সূচনা ❏ ❏ 


1. সাধারণভাবে 1857 সালের 29 মার্চ বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পান্ডের বিদ্রোহকে মহাবিদ্রোহের সূচনা বলে ধরা হয়। কিন্তু এটি ছিল একটি সাময়িক ঘটনা মাত্র।

2. 10 ই মে মিরাটের সেনানিবাসে মহাবিদ্রোহের প্রকৃত সূচনা হয়।

3. পরে এই বিদ্রোহ অযোধ্যা, কানপুর, লখনউ ছড়িয়ে পড়ে।

❏ ❏ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দানকারী ❏❏  


1. কানপুরে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নানা সাহেব এবং তার বিশ্বস্ত অনুচর তাতিয়া টোপি

2. ঝাঁসিতে রানী লক্ষ্মীবাঈ

3. অযোধ্যায় বেগম হযরত মহল

4. বিহারে কুনওয়ার সিং

5. ফৈজাবাদে মৌলানা আবদুল্লাহ

6. Rohilkhand এ খান বাহাদুর খান


❏ ❏ মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ ❏ ❏ 


1. পরিকল্পনার অভাব এবং নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।

2. যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।

3. সামরিক সামর্থের অভাব।

4. জমিদার শ্রেণীর এবং অভিজাত ব্যবসায়ী ভারতীয়রা ইংরেজদেরকে সাপোর্ট করে। ইত্যাদি কারণে এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।


❏❏  মহাবিদ্রোহের প্রত্যাক্ষ প্রভাব ❏ ❏ 


ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান হয় এবং ইংল্যান্ডের রানী দ্বারা ভারত শাসনের সূচনা হয়।


❏❏ মহাবিদ্রোহ সম্পর্কে মন্তব্য ❏ ❏ 


1. জহরলাল নেহেরুর তার discovery of india গ্রন্থে মহাবিদ্রোহ সম্পর্কে বলেন যে এই বিদ্রোহ সমগ্র ভারতকে বিশেষত ব্রিটিশ প্রশাসনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

2. নিউ ইয়র্ক daily tribune পত্রিকায় সিপাহী বিদ্রোহ সম্পর্কে কালমার্কস লিখেছিলেন যে অনেকে যাকে সেনা বিদ্রোহ বলে মনে করছেন সেটি আসলে জাতীয় বিদ্রোহ।

3. বিনায়ক দামোদর সাভারকর মহাবিদ্রোহ কে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম রূপে অভিহিত করেন। তিনি একথাও বলেন যে এটি একটি পরিকল্পিত জাতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ।


Previous Post Next Post