ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles

 

ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles
ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles 


সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles




ভার্সাই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব | Terms and Significance of Treaty of Versailles   

ভার্সাই সন্ধির শর্তঃ-  ভার্সাই সন্ধির প্রধান শর্তগুলি ছিল—

(১) জার্মানিকে যুদ্ধ-অপরাধী ঘোষণা করে জার্মানির স্থল, জল ও বিমানবাহিনী ভেঙে দেওয়া।


(২) জার্মানিতে বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষাদান ও সমরাস্ত্র নির্মাণ নিষিদ্ধ করা।


(৩) জার্মানিকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করে ৬৬,০০০০০০০০ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। এ ছাড়া জার্মানি ফ্রান্স, ইতালি ও বেলজিয়ামকে কয়লা সরবরাহে বাধ্য থাকবে।

(৪) জার্মানিকে তার আলসাস ও লোরেন ফ্রান্সকে দিতে বলা হয়।

(৫) সার উপত্যকা ১৫ বছরের জন্য ফ্রান্সকে দিতে হবে। ১৫ বছর পরে গণভোটের মাধ্যমে এই স্থান কোন্ দেশের অধীনে হবে তা ঠিক করা হবে।


(৬) বেলজিয়ামকে পশ্চিম সীমান্তের ইউপেন, ম্যালমেডি ও মরিসনেট ছেড়ে দিতে হবে।

(৭) স্লেজভিগ প্রদেশ ডেনমার্ককে, মেমেল বন্দর লিথুয়ানিয়াকে ছেড়ে দিতে হবে।

(৮) ডানজিগ বন্দরকে মুক্ত বন্দর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

(৯) জার্মানিকে তার সুদূর প্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকাস্থিত উপনিবেশগুলিকে ছেড়ে দিতে হবে।

(১০) জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

(১১) কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম, তাঁর সভাসদ এবং সেনাপতিদের বিচারের জন্য মিত্রপক্ষের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।

(১২) পূর্ব সীমান্তের সাইলেশিয়া প্রদেশকে তিনভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দেশকে দেওয়া হবে।


❏ ভার্সাই সন্ধির গুরুত্বঃ- ভার্সাই সন্ধির খসড়া তৈরি করে মিত্রপক্ষ তা জার্মান প্রতিনিধিদের মাত্র একবার দেখিয়ে তাদের আপত্তিগুলি জানাতে বলে। জার্মান প্রতিনিধি দল ৪৪৩ পৃষ্ঠার এক আপত্তিপত্র জমা দেয়। কিন্তু জার্মানদের আপত্তিগুলি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিমান আক্রমণের ভয় দেখিয়ে জোর করে তাদেরকে সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়। জার্মানরা এই সন্ধিকে একতরফা, জবরদস্তি, চাপিয়ে দেওয়া সন্ধি (Peace dictated) বলে অভিহিত করে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়নি। ফলে জার্মানরা এই সন্ধি নিতান্ত বাধ্য হয়ে মেনে নিলেও তাদের অন্তরে প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথ প্রশস্ত করেছিল।


Previous Post Next Post