ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement

 

ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement
ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement 


সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement  . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement




ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান | In India Social Reform Movement   

ভারতের সমাজ-সংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের অবদান কী ছিল? | In India Social Reform Movement 

ব্রাহ্মসমাজ ও দেবেন্দ্রনাথ:- রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের (ব্রাহ্মসভা পরে ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়) নেতৃত্ব প্রথমে গ্রহণ করেছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ব্রাক্মসমাজের মত ও সমাজসংস্কারের ভাবধারা প্রচারে উদ্দেশ্যে তত্ত্ববোধিনী সভার প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ প্রকাশের মাধ্যমে ব্রাক্মসমাজের আদর্শ প্রচার করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।


❏ দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বিরোধঃ- ক্রমে দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজের নবীন সদস্যদের বিরোধ বাধে। নবীন সদস্যরা আধ্যাত্মিক ধর্মসাধনার পরিবর্তে জাতিভেদ, নারীশিক্ষা, বিধবাবিবাহ প্রভৃতি সমাজ সংস্কারমূলক কাজকর্মের পক্ষপাতী ছিলেন। এদের নেতৃত্বে ছিলেন কেশবচন্দ্র সেন। ক্রমে তাঁদের বিরোধ চরমে ওঠে।


❏ ভারতীয় ব্রাক্মসমাজ প্রতিষ্ঠাঃ- অবশেষে কেশবচন্দ্র ব্রাক্মসমাজ ত্যাগ করে ১৮৬৫ (মতান্তরে ১৮৬৬) খ্রিস্টাব্দে ‘ভারতীয় ব্রাক্মসমাজ' গঠন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।


কার্যকলাপ তাঁদের প্রচেষ্টায় ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে সরকার ‘তিন আইন’ পাশ করে। এই আইন অনুসারে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয় এবং অসবর্ণ বিবাহকে আইনসিদ্ধ করা হয়। তাঁদের উদ্যোগে সিটি স্কুল, ব্রাহ্ম বালিকা বিশ্বদ্যালয় প্রভৃতি স্থাপিত হয়। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্রের সঙ্গে বিরোধে অপেক্ষাকৃত নবীন সদস্যরা ‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’ গঠন করেন।


প্রভাবঃ- এতদ্‌সত্ত্বেও উদার ধর্মীয় আদর্শ ও জাতীয়তাবাদের আদর্শ প্রচার করে ব্রাক্মসমাজ সামাজিক ও জাতীয় সংহতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের অবদান অনস্বীকার্য।


Previous Post Next Post