সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল | Cause and Effects of the Great Revolt in Bengali . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল | Cause and Effects of the Great Revolt in Bengali।
মহাবিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল | Cause and Effects of the Great Revolt in Bengali
❏ মহাবিদ্রোহের ফলাফল (Results of the Great Rebellion):-
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ ভারতের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ও যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল তবুও ভারতের ইতিহাসে এই বিদ্রোহ এক নব অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, The great outbreak of 1857 brought about fundamental changes in the character of Indian administration and the future development of the country.
❏ শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন:- কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। কোম্পানির শাসনের অবসানের উদ্দেশ্যে এবং ভারতের শাসনভার ইংল্যান্ডের রানির হাতে হস্তান্তর করার জন্য ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২রা আগস্ট একটি আইন পাশ করে।
Act for the Better Government of India বা The Government of India act নামে পরিচিত এই আইনের মাধ্যমেই ভারতে কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করা হয় রানির হয়ে ভারত শাসন করবেন ভারতসচিব। তাঁকে সাহায্য করবেন ১৫জন সদস্যবিশিষ্ট একটি পরামর্শক সভা। আর ভারতে বসে রানির হয়ে শাসন করবেন ভাইসরয়।
❏ মহারানির ঘোষণাপত্র (The Queen's Proclamation):- মহারানি ভারত শাসনের দায়িত্ব নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। এই ঘোষণাপত্রে তিনি ভারতীয়দের বিভিন্ন বিষয়ে কিছু আশ্বাস দেন। স্বত্ববিলোপ নীতি প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়। ভারতীয়দের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
❏ সামরিক পুনর্গঠন:- সামরিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কারসাধন করা হয়। সেনাবাহিনীকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অঙ্গীভূত করে নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সংস্কার করা হয়েছিল এমনভাবে যাতে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ দেখা না দেয়। ইউরোপীয় সৈন্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। ভারতীয়দের উচ্চপদে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়। জাতি ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে ভারতীয় সিপাহিদের পৃথক করে রাখা হয়।
❏ প্রশাসনিক পুনর্গঠন:- ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কাউন্সিল আইন পাশ করে কিছু প্রশাসনিক পুনর্গঠন করা হয়। এই আইনে বড়োলাটের কার্যনির্বাহক পরিষদের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করে ছয় থেকে বারোর মধ্যে রাখার কথা বলা হয়। এর মধ্যে অর্ধেক সদস্য হবে বেসরকারি সদস্য। আইন পরিষদের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়।
■ মহাবিদ্রোহের ধর্মীয় কারণ:- ইংরেজরা এদেশে শাসন করার সঙ্গে সঙ্গে খ্রিস্টধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে শুরু করে। খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মপ্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সমাজের নিন্দা করত। তারা হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য করতেও দ্বিধাবোধ করত না। এর ফলে ভারতবাসীর মনে সন্দেহ হয় যে তাদের ধর্মান্তরকরণ করাই ইংরেজদের প্রকৃত উদ্দেশ্য। এভাবে ধর্মীয় কারণে ইংরেজদের প্রতি ভারতবাসীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF