একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign

 

একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign
একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign।




একনজরে গান্ধিজির ডান্ডি অভিযান | Gandhiji Dundee Campaign

❏ ভূমিকাঃ- গান্ধিজি আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করতে প্রথমেই লবণ আইন ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি জানতেন এর ফলে দেশের আপামর জনসাধারণ এই আন্দোলনে অংশ নিতে উৎসাহিত হবে। সেসময় ভারতীয়দের লবণ তৈরি করা ছিল আইনত দণ্ডনীয়।


❏ ডান্ডি অভিযানের সূচনাঃ- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই মার্চ গান্ধিজি তাঁর ৭৮ (মতান্তরে ৭৯) জন বিশ্বস্ত সত্যাগ্রহীকে নিয়ে সবরমতী আশ্রম থেকে ২৪০ মাইল দূরে অবস্থিত গুজরাটের সমুদ্রোপকূলের ডান্ডি নামক স্থান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিলেন। যাত্রাপথে বিপুল সংখ্যক সত্যাগ্রহী তাঁদের সঙ্গে যোগ সর্বত্র ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। এই অভিযানের খবর সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিদেশি সাংবাদিকরাও এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই অভিযানের সংবাদ প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে।


❏ লবণ আইনভঙ্গঃ- অবশেষে ২৪ দিন পর ৫ ই এপ্রিল তাঁরা ডান্ডিতে পৌঁছোন। পরদিন ৬ ই এপ্রিল গান্ধিজি নিজের হাতে সমুদ্রের জল থেকে লবণ তৈরি করে লবণ আইন ভঙ্গ করেছিলেন।

❏ আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা:- এইভাবে আইন অমান্য আন্দোলনের প্রথম পর্ব শুরু হয়।


❏ আন্দোলনের প্রসারঃ- গন্ধিজি কর্তৃক লবণ আইন ভঙ্গ করার পরপরই সারা দেশের সমুদ্রোপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে লবণ আইন ভঙ্গ হতে থাকে।

❏ বিভিন্ন আইন ভঙ্গঃ- শুধু লবণ আইন-ই নয়, নিষিদ্ধ প্রচার পুস্তিকা পাঠ ও প্রচার করা, বিলাতি দোকানে পিকেটিং করা, ১৪৪ ধারা অমান্য করে সভাসমিতি করা, কর বন্ধ প্রভৃতি বিভিন্নভাবে আইন অমান্য করা হতে থাকে।


❏ মহিলাদের ব্যাপক অংশগ্রহণঃ- গান্ধিজি মহিলাদের চরকায় সুতো কাটা ও বিলাতি দ্রব্যের দোকানে পিকেটিংয়ে যোগ দিতে বলেন। মহিলারা দলে দলে এগিয়ে আসেন এবং কারাবরণ করেন। মহাত্মা গান্ধি এরপর সুরাটের ধরসানা নামক স্থানের সরকারি লবণ গোলা দখল করতে মনস্থির করেন। এই সংবাদে গান্ধিজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে আব্বাস তায়েবজি এই দায়িত্ব গ্রহণ করলে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তখন এখানে সত্যাগ্রহ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন সরোজিনী নাইডু।

❏ ব্যাপক প্রসার লাভঃ- লবণ আইন অমান্য আন্দোলন ক্রমে ভারতের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার তমলুক, কাঁথি, বিহারের মুঙ্গের, ভাগলপুর, পাটনা, পাঞ্জাবের লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, মাদ্রাজের মাদ্রাজ, মাদুরাই, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে এই আন্দোলন ব্যাপকভাবে পরিচালিত হয়।


❏ খান আবদুল গফফ্ খানঃ- ভারতের উত্তর- পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন একনিষ্ঠ গান্ধিবাদী ও সীমান্ত গান্ধি নামে সুপরিচিত খান আবদুল গফফ্ খান। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘খোদা-ই-খিদমৎগার’ (ঈশ্বরের সেবক) বা ‘লাল কোর্তা’ বাহিনীর সদস্যরা সম্পূর্ণ অহিংসভাবে ইংরেজদের প্রবল দমননীতি সত্ত্বেও আইন অমান্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post