বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal

বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal
বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal।




বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the Pala kings of Bengal

❏ বাংলার পাল বংশের রাজাদের বিবরণ (Description of the Pala kings of Bengal):-

বাংলার পাল বংশ ও শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলা অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ক্ষেত্রে সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। বাংলার রাজনৈতিক ঐক্য ব্যাহত হয় এবং খণ্ড খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে যে অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে’ পরিচিত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলার স্থানীয় নেতারা গোপাল নামে এক জনপ্রিয় সামন্তকে বাংলার রাজপদে নির্বাচিত করেন। গোপালের এই নির্বাচনকে ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার ‘রক্তপাতহীন বিপ্লব’ -এর সাথে তুলনা করেছেন। এইভাবে বাংলায় পাল বংশের প্রতিষ্ঠা হয়।


■ [১] ধর্মপাল (৭৭০-৮১০ খ্রিস্টাব্দ) : গোপালের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল রাজা হন। তাঁর রাজত্বকালে বাংলার ছোট্ট পালরাজ্য সর্বভারতীয় সাম্রাজ্যের মর্যাদায় উন্নীত হয়। সে-সময়ে উত্তর-ভারতের প্রভুত্বের প্রশ্নে রাষ্ট্রকূট ও প্রতিহারদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল। ধর্মপাল এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ দেন। সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে ধর্মপাল পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলে প্রতিহার-রাজ বৎসরাজ -এর কাছে পরাস্ত হন। রাষ্ট্রকূট রাজ ধ্রুব বৎসরাজকে পরাস্ত করে ধর্মপালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। এর মধ্যেই ধর্মপাল মগধ, বারাণসী ও প্রয়াগ জয় করেন। কিন্তু ধ্রুবের কাছে তিনি পরাস্ত হন। ধ্রুব দাক্ষিণাত্যে ফিরে গেলে ধর্মপাল কনৌজ আক্রমণ করে তা দখল করেন এবং সিন্ধুনদ ও পাঞ্জাব পর্যন্ত অগ্রসর হন। মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি উত্তর-ভারতে পালবংশের আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছিলেন।


■ [২] দেবপাল (৮১০-৮৫০ খ্রিস্টাব্দ) : ধর্মপালের মৃত্যুর পর তাঁর সুযোগ্য পুত্র দেবপাল সিংহাসনে বসেন। দেবপাল ছিলেন পালবংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা। পিতার মতো তিনিও ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী।
দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত ও পশ্চিমে কাশ্মীরের সীমান্ত পর্যন্ত তাঁর প্রভুত্ব বিস্তৃত ছিল। দেবপাল উড়িষ্যা ও কামরূপের দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলার এই দুই সীমান্ত রাজ্য জয় করেন। প্রকৃতপক্ষে প্রায় সমগ্র উত্তর ভারতে তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেবপালের আমলে পাল সাম্রাজ্য গৌরবের চরম শিখরে উঠেছিল।

■ [৩] প্রথম মহীপাল (৯৮৮–১০৩৮ খ্রিস্টাব্দ) : দেবপালের মৃত্যুর পর পাল সাম্রাজ্য সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। পাল সাম্রাজ্যের এই ঘোর দুর্দিনে প্রথম মহীপাল বাংলার সিংহাসনে বসেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি উত্তর ও পূর্ববঙ্গ পুনরুদ্ধার করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে প্রথম মহীপালকে দাক্ষিণাত্যের পরাক্রান্ত চোলরাজ রাজেন্দ্র চোলের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়। যাই হোক, চোলরা ফিরে গেলে প্রথম মহীপাল একাধিক যুদ্ধে জয়লাভ করে মিথিলা (উত্তর-বিহার) ও বারাণসী আবার দখল করে নেন। মহীপাল যে শুধু সুদক্ষ যোদ্ধাই ছিলেন তা নয়, তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতিরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

■ [৪] রামপাল (১০৭৭-১১৩০ খ্রিস্টাব্দ) ও পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি : পালবংশের শেষ শক্তিশালী রাজা ছিলেন রামপাল। সিংহাসনে বসেই রামপাল বরেন্দ্রভূমি পুনরুদ্ধার করেন। এছাড়া কামরূপ ও উৎকল বিজয় এবং চালুক্যও গাহড়বালদের আক্রমণ প্রতিরোধ হল রামপালের অন্যতম কৃতিত্ব। তাঁর মৃত্যুর পর উল্লেখযোগ্য রাজার অভাবে পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post