একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers

একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers
একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers।




একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি | Geography of West Bengal Questions Answers

❏ একনজরে পশ্চিমবঙ্গের ভূপ্রকৃতি (Geography of West Bengal Questions Answers):-

পশ্চিমবঙ্গে পাহাড়, পর্বত, উচ্চভূমি, মালভূমি ও সমভূমি সকল প্রকার ভূমিরূপই দেখা যায় এবং সেই অনুযায়ী এই রাজ্যকে পার্বত্য অঞ্চল, উচ্চভূমি অঞ্চল ও সমভূমি অঞ্চল —এই তিনটি প্রধান ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়।


■ উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল — পশ্চিমবঙ্গের মোট আয়তনের মাত্র এক শতাংশ পার্বত্য অঞ্চল। এটি আসলে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের অংশ। এই পার্বত্য অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে প্রধানত দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলাতেও ভুটান রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে এই পার্বত্য অঞ্চল দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের এই পার্বত্য অঞ্চলকে দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলও বলে। অঞ্চলটি দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে ক্রমশ উঁচু হয়ে গেছে।


■ পশ্চিমের উচ্চভূমি অঞ্চল — এই অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গের মোট আয়তনের প্রায় ছয় শতাংশ অধিকার করে রয়েছে। এই অঞ্চল আসলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটোনাগপুর মালভূমির সম্প্রসারিত অঞ্চল। গোটা পুরুলিয়া জেলা এবং বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশ জুড়ে এই উচ্চভূমি অঞ্চলটি প্রসারিত হয়েছে। এই অঞ্চলটি পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ক্রমশ নীচু হয়ে গেছে। এই উচ্চভূমি অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিন্দু গোর্গাবুরু বা গজবুরু (677 মি), অযোধ্যা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এই অঞ্চলে শুশুনিয়া, বিহারীনাথ প্রভৃতি পাহাড় রয়েছে।


এই উচ্চভূমি অঞ্চলের পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত নীচু, উচ্চতা 50 মি থেকে 100 মিটারের মধ্যে। এই অংশের ভূমি তরঙ্গায়িত। এর পূর্বদিকেই সমভূমি অঞ্চলটি বিস্তৃত।

■ সমভূমি অঞ্চল — পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলটি উত্তর দিকে পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। অঞ্চলটি গঙ্গা ও ভাগীরথী এবং তাদের উপনদী ও শাখানদীগুলির পলিমাটি দ্বারা গঠিত এবং মোটামুটি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ঢালু। এই অঞ্চলে পলিমাটি এতই গভীর যে 413 মিটার গভীর খনন করেও কোনো শিলাস্তরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অঞ্চলটিকে গঙ্গা-ভাগীরথীর সমভূমি অঞ্চল বলা হয়। এর আয়তন পশ্চিমবঙ্গের মোট আয়তনের প্রায় 93 শতাংশ।


পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়,

(ক) উত্তরের সমভূমি — পার্বত্য অঞ্চলের দক্ষিণ থেকে গঙ্গা-পদ্মার উত্তরতট পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল।

(খ) দক্ষিণের সমভূমি — গঙ্গা-পদ্মার দক্ষিণ তট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

❏ উত্তরের সমভূমিতে রয়েছে – [i] তরাই অঞ্চল, [ii] তিস্তার সমভূমি ও [iii] মহানন্দার সমভূমি।

● পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশ থেকে দক্ষিণদিকে প্রায় 40 কিমি প্রশস্ত যে নিম্নভূমি অঞ্চল দেখা যায়, তাকে তরাই অঞ্চল বলে, স্থানীয় নাম ডুয়ার্স। দার্জিলিং জেলার দক্ষিণাংশ এবং জলপাইগুড়ি জেলার উত্তরাংশ তরাই অঞ্চলের অন্তর্গত। 100 মিটার সমোন্নতিরেখাকে এর দক্ষিণ সীমা বলে ধরা হয়ে থাকে।

● তিস্তার সমভূমি ঢেউ খেলানো।


● মহানন্দার সমভূমি অঞ্চলে তিন প্রকার সমভূমি দেখা যায় — তাল – বর্ষাকালে প্লাবিত হয়ে যায়, দিয়ারা — নদীর তীরবর্তী উচ্চভূমি এবং বরেন্দ্রভূমি — মালদহ জেলার পূর্বাংশের ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশের প্রাচীন পলিগঠিত ঢেউ খেলানো উচ্চভূমি।

❏ দক্ষিণের সমভূমিতে রয়েছে— [i] রাঢ় অঞ্চল, [ii] উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চল ও [iii] বদ্বীপ অঞ্চল।

● রাঢ় অঞ্চলটি পশ্চিমের উচ্চভূমি অঞ্চলের পূর্বদিকে অবস্থিত এবং এর পূর্বদিকের সীমারেখা হল 10 মিটার সমোন্নতিরেখা। অঞ্চলটি সাধারণভাবে সমতল হলেও এটি একটি ক্ষয়প্রাপ্ত ঢেউখেলানো সমভূমি। নবদ্বীপ, তারকেশ্বর, ঘাটাল প্রভৃতি 10 মিটার সমোন্নতিরেখায় অবস্থিত।

● উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রসুলপুর নদী থেকে ওড়িশার সীমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল। এখানে দিঘা বালিয়াড়ি ও কাঁথি বালিয়াড়ি আছে।


● গঙ্গার বদ্বীপ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। এই বদ্বীপের পূর্বাংশ বাংলাদেশে এবং পশ্চিমাংশ পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত। বদ্বীপের এই পশ্চিমাংশ ‘বাগড়ি’ নামে পরিচিত।

পশ্চিমবঙ্গের বদ্বীপ অঞ্চলটি উত্তরে গঙ্গা-পদ্মা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এবং পশ্চিমে ভাগীরথী (হুগলি) থেকে পূর্বদিকে বাংলাদেশের সীমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। সমগ্র বদ্বীপ অঞ্চলটি নদীবাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিত এবং অত্যন্ত সমতল। বদ্বীপ গঠনের বিভিন্ন পর্যায় অনুযায়ী এই অঞ্চলকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়—

(ক) মৃতপ্রায় বদ্বীপ অঞ্চল — মুর্শিদাবাদ জেলার পূর্বাংশ, সমগ্র নদিয়া জেলা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অধিকাংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অংশের নদীগুলি মজে যাওয়ার ফলে নদীগুলি দিয়ে বেশি জল প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে নদীগুলির দ্বারা পলিও পড়ে না। এই অংশে বদ্বীপ গঠনের কাজ শেষ হয়ে গেছে।

(খ) পরিণত বদ্বীপ অঞ্চল — মৃতপ্রায় বদ্বীপ অঞ্চলের দক্ষিণ সীমা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণাংশ এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উত্তরাংশ ও কলকাতা এই অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলের নদীগুলি এখনও পর্যন্ত বদ্বীপ গঠনের কাজ কিছু কিছু করে চলেছে।

(গ) সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চল — দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণাংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অংশে বদ্বীপ গঠনের কাজ এখনও সক্রিয়ভাবে চলছে।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post