সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে হুমায়ুনের ভূমিকা | Humayun role in the expansion of the Mughal Empire . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে হুমায়ুনের ভূমিকা | Humayun role in the expansion of the Mughal Empire।
মোগল সাম্রাজ্যের প্রসারে হুমায়ুনের ভূমিকা | Humayun role in the expansion of the Mughal Empire
❏ হুমায়ুন (১৫৩০-১৫৩৯ খ্রি):
বাবরের মৃত্যুর পর (১৫৩০ খ্রিঃ) তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র হুমায়ুন সিংহাসনে বসেন। তিনি প্রথম দফায় ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। দিল্লির সিংহাসন দখল করে সিংহাসনে বসেই হুমায়ুনকে পূর্ব-ভারতে শের খাঁ -র নেতৃত্বে আফগান শক্ত ও গুজরাটের বাহাদুর শাহ্, এই দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বির সম্মুখীন হতে হয়, তবে আফগানদের নিজেদের সঙ্গেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রবল আকার ধারণ করে।
■ আফগান শক্তির পুনরুত্থান (শের খাঁ): পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে ও পরে ঘর্ঘরার যুদ্ধে আফগান শক্তির বিপর্যয় ঘটলেও আফগানরা কখনও বিচ্ছিন্নভাবে এবং কখনও সংঘবদ্ধভাবে মোগলদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছিল। কিন্তু তাদের প্রয়োজন ছিল এক সুসংবদ্ধ সংগঠন ও এক প্রতিভাবান নেতা। বিহারের শের খাঁ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৫৩৬ খ্রিস্টাব্দে শের খাঁ বাংলার বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। মামুদ প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাঁর সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন। কিন্তু পরের বছর শের খাঁ দ্বিতীয়বার বাংলা আক্রমণ করে গৌড় দখল করে নেন। শের খাঁ -র গৌড় দখলের সংবাদ সম্রাট হুমায়ুনকে বিচলিত করে। তিনি কালবিলম্ব না করে শের খাঁ -র বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। পথে চুনার দুর্গদখল করে তিনি গৌড় আক্রমণ করেন।
শের খাঁহুমায়ুনকে বাধা না দিয়ে বাংলা ত্যাগ করলেও একের পর এক বারাণসী, রোটাস ও জৌনপুর দখল করে কনৌজ পর্যন্ত অগ্রসর হন। প্রায় নয় মাস বাংলায় আমোদ-প্রমোদে সময় নষ্ট করে হুমায়ুন পরোক্ষভাবে শের খাঁর শক্তিবৃদ্ধিতে সাহায্য করেন। যাইহোক, নিজের বিপত্তির কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত তিনি আগ্রার পথে যাত্রা করেন। বিহারে বক্সারের কাছে চৌসা নামক স্থানে শের খাঁ মোগলবাহিনীকে হঠাৎ আক্রমণ করে পরাস্ত করেন (১৫৩৯ খ্রিঃ)। এর ফলে বাংলা, বিহার ও জৌনপুর শের খাঁর দখলে আসে। এই সাফল্যের পর তিনি ‘শেরশাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন। পরের বছর কনৌজের যুদ্ধে (১৫৪০ খ্রিঃ) শেরশাহের কাছে হুমায়ুনের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে এবং শেরশাহ দিল্লির সিংহাসন দখল করেন। রাজ্যহারা হুমায়ুন ভারত ত্যাগ করে পারস্যে আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF