সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব | Main Teachings and Influence of Jainism . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব | Main Teachings and Influence of Jainism।
জৈনধর্মের মূল শিক্ষা ও প্রভাব | Main Teachings and Influence of Jainism
■ জৈনধর্মের মূল শিক্ষা : পার্শ্বনাথ প্রবর্তিত চতুৰ্যাম নীতি যথা : (১) অহিংসা, (২) সত্য, (৩) অচৌর্য (চুরি না করা) ও (৪) অপরিগ্রহ (বিষয় সম্পত্তি থেকে মুক্ত থাকা) এবং মহাবীর প্রবর্তিত ব্রহ্মচর্য মোট এই পাঁচটি নীতি বা ‘পঞ্চ মহাব্রত’ হল জৈনধর্মের মূলভিত্তি। জৈনধর্মের মতে, সত্য বিশ্বাস, সত্য জ্ঞান এবং সত্য আচরণ — এই তিনটি গুণ হল মানুষের ত্রিরত্ন। এই তিনটি গুণ বা ত্রিরত্নের সাহায্যে পরম শুদ্ধ আনন্দ বা আত্মার মুক্তি অর্থাৎ ‘সিদ্ধশিলা’লাভ করা যায়।
জৈনধর্মে বেদের অভ্রান্ততা, যাগযজ্ঞের কার্যকরীতা বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না। তবে এই ধর্ম হিন্দুদের মতো কর্মফলও জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসী। কৃচ্ছসাধনকেই জৈনরা শাশ্বত সত্যকে জানার একমাত্র উপায় বলে মনে করেন। জৈনধর্মমতে বিশ্বাস করা হয় যে, ‘পঞ্চমহাব্রত' পালন ও কৃচ্ছসাধনের দ্বারাই কর্ম ও জন্মান্তরের বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জৈনধর্মে সামান্যতম কীট হত্যাকেও মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়।
■ জৈনধর্মের প্রভাব : ভারতের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক জীবনের ওপর জৈনধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম, কারণ :
প্রথমত, জৈনধর্মই সর্বপ্রথম বর্ণবিভক্ত ভারতীয় সমাজের বুকে সমস্ত মানুষের সমান অধিকারের কথা প্রচার করা হয়।
দ্বিতীয়ত, সৎ কাজকর্মের মাধ্যমেই সব মানুষই মোক্ষলাভ করতে পারবে — জৈনধর্মের এই শিক্ষা সমাজকে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যাচার প্রভৃতির কলুষ প্রভাব থেকে মুক্ত করতে পেরেছিল।
তৃতীয়ত, জৈন তীর্থংকররা সংস্কৃত ভাষার পরিবর্তে তখনকার দিনের কথ্য পালি ও প্রাকৃত ভাষায় শিক্ষাদান করতেন, ফলে বহু স্থানীয় ভাষা সমৃদ্ধিলাভ করেছিল। জৈন ধর্মশাস্ত্রগুলি প্রাকৃত ভাষায় রচিত হলেও জৈনধর্মের বিস্তারের মাধ্যমে কেবলমাত্র প্রাকৃত ভাষাই নয়, মাড়োয়ারি, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু ও কানাড়ি ভাষাও সমৃদ্ধ হয়েছিল।
চতুর্থত, জৈনধর্মের অহিংসার আদর্শ ও যুদ্ধের অপ্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত ভাবনা চিন্তা প্রচারের ফলে পশুহত্যা বন্ধ হয় এবং ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটে।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF
