সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি একনজরে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ | Natural Flora of West Bengal Questions Answers . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে একনজরে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ | Natural Flora of West Bengal Questions Answers।
একনজরে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ | Natural Flora of West Bengal Questions Answers
❏ একনজরে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ (Natural Flora of West Bengal Questions Answers):-
মানুষের প্রচেষ্টা ছাড়াই যে উদ্ভিদরাজি আপনা থেকেই জন্মায় তাকে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে। কোনো স্থানের স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রধানত সেই স্থানের জলবায়ু ও মৃত্তিকার গুণাগুণের উপর নির্ভর করে।
স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রধানত দুই প্রকার — বৃক্ষ ও তৃণ। বৃক্ষের দ্বারা বনভূমির সৃষ্টি হয়, তৃণের, দ্বারা তৃণভূমি -র। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত তিন প্রকার বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় — চিরহরিৎ, পর্ণমোচী ও ম্যানগ্রোভ।
■ হিমালয় অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ : দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অঞ্চলে বনভূমি দেখা যায়। এর বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন শ্রেণির উদ্ভিদ জন্মে।
■ সমভূমি অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ — এই অঞ্চলে কেবলমাত্র দুটি জায়গায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের বনভূমি দেখা যায় — তরাই অঞ্চলে ও বদ্বীপের সক্রিয় অংশে।
তরাই অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদগুলি প্রধানত পর্ণমোচী জাতীয়। এখানে শাল, সেগুন, শিশু, জারুল প্রভৃতি জন্মে। জলপাইগুড়ি জেলায় বৈকুণ্ঠপুর ও কোচবিহার জেলায় গারোদহাট বনভূমি রয়েছে।
তরাই অঞ্চলের দক্ষিণ থেকে দক্ষিণে সক্রিয় বদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ কৃষি ও বসতির প্রয়োজনে প্রায় সবটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই অঞ্চলে প্রধান দুটি বৃক্ষ হল, বট ও অশ্বত্থ। বাঁশ ঝাড় সর্বত্রই দেখা যায়। তালগাছও জন্মে। অপেক্ষাকৃত শুষ্ক অঞ্চলে বাবলা, বালুকাময় সিক্ত অঞ্চলে কাশ, জলা জায়গায় শোলা, বদ্ধ পুকুরে পানা, পানিফল, পদ্ম, শালুক প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মে। এছাড়া নানাপ্রকার তৃণও জন্মে। যেমন — উলু খড়, সাবাই ঘাস, বেনা (খস) প্রভৃতি।
উলু খড় ঘরের চাল ছাইতে, সাবাই ঘাস কাগজ তৈরি করতে এবং বেনা (খস) ঘাস সুগন্ধি নির্যাস তৈরি করতে ও গ্রীষ্মকালে ঘর শীতল রাখতে ব্যবহৃত হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলের বালিয়াড়ি অঞ্চলে ঝাউগাছ জন্মে।
যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইসলামপুর মহকুমায় শাল, শিশু, শিমুল, হিজল প্রভৃতি বৃক্ষের বন এবং মালদহ জেলায় হালনা, সিঙ্গাবাদ প্রভৃতি বনভূমি রয়েছে তবুও সমভূমি অঞ্চলে উদ্ভিদের অভাব পূরণ করতে এখন বিভিন্ন স্থানে বনসৃজন করা হয়েছে, যেমন — নদিয়া জেলায় বেথুয়াডহরী, চক হাতিশালা, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় পারমাদান প্রভৃতি।
■ বদ্বীপ অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ— বদ্বীপ অঞ্চলের মধ্যে কেবলমাত্র সক্রিয় বদ্বীপ অঞ্চলেই স্বাভাবিক উদ্ভিদের বনভূমি দেখা যায়। এই বনভূমি ম্যানগ্রোভজাতীয়।
এখানে সুন্দরী (সুঁদরি), গরান, গর্জন, গেওয়া, কেওড়া, ছাতিম, পিটুলি, হোগলা, গোলপাতা প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মে। সুন্দরী গাছের জন্যই এই বনের নাম সুন্দরবন হয়েছে। অনেকে মনে করেন যে ‘সমুদ্রবন’ থেকে ‘সুন্দরবন' নামকরণ হয়েছে। এই বনভূমি ঘন তবে এখানকার গাছগুলি 10-12 মিটারের বেশি উঁচু হয় না।
■ পশ্চিমবঙ্গের বনভূমি থেকে প্রাপ্ত বনজসম্পদ :
● [i] পার্বত্য অঞ্চলের উদ্ভিদ থেকে গৃহ নির্মাণ ও আসবাবপত্রের উপকরণ, দেশলাই ও প্যাকিং বাক্স, প্লাইউড, কাগজের মণ্ড প্রভৃতি তৈরির উপাদান পাওয়া যায়।
[ii] মালভূমি ও সমভূমি অঞ্চলের গাছপালা থেকে মূল্যবান কাঠ, ধুনা, লাক্ষা, বিভিন্ন ফল-ফুল, গঁদ প্রভৃতি পাওয়া যায়।
[iii] বদ্বীপ অঞ্চলের সুন্দরবন থেকে গৃহনির্মাণ ও নৌকা তৈরির কাঠ, জ্বালানি কাঠ, মধু, গোলপাতা, হোগলা প্রভৃতি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF