বৈদিক সভ্যতার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য | Political and Religious Characteristics of Vedic Civilization

বৈদিক সভ্যতার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য | Political and Religious Characteristics of Vedic Civilization
বৈদিক সভ্যতার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য | Political and Religious Characteristics of Vedic Civilization

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি প্রাকৃতিক পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Natural Environment Questions Answers . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Natural Environment Questions Answers।




প্রাকৃতিক পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Natural Environment Questions Answers

■  বৈদিক সভ্যতার রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য : 


● (১) উপজাতিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা : বৈদিক যুগের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল প্রধানত উপজাতিকেন্দ্রিক। এই সময়ে বিভিন্ন উপজাতিদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ লেগেই থাকত। উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে যদু, পরু ও তুর্ভস ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। এর পরবর্তী সময়ে ভরত, সৃঞ্জয় ও পাঞ্চাল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। উপজাতিগুলোর গোষ্ঠী নেতারা ক্রমে ক্রমে রাজাদের মতো নানা সুযোগসুবিধা ও ক্ষমতা ভোগ করতে করতে কালক্রমে রাজায় পরিণত হন। 


● (২) রাজা : রাজা ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তা। এই সময় রাজপদ সাধারণত বংশানুক্রমিক ছিল । প্রজা ও প্রজাদের সম্পত্তি রক্ষা, কর আদায়, বিচার, যুদ্ধ পরিচালনা ও ধর্মরক্ষা করা ছিল রাজার প্রধান দায়িত্ব। রাজার আয়ের উৎস ছিল দুটি, যেমন : (১) রাজাকে প্রদত্ত দান এবং (২) যুদ্ধে পরাস্ত গোষ্ঠীর কাছ থেকে আদায়ীকৃত দ্রব্যসামগ্রী। 


● (৩) সভা ও সমিতি : এযুগে ‘সভা’ ও ‘সমিতি' নামে দুটি জনসভা রাজশক্তি নিয়ন্ত্রণ করত। রাজ্যের বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে ‘সভা’ গঠিত হত, আর ‘সমিতি’ ছিল জনসাধারণের সাধারণ পরিষদ। শাসন, বিচার ও জনহিতকর সংক্রান্ত কাজের ব্যাপারে এই সংস্থা দুটি অংশগ্রহণ করত। তবে ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার -এর মতে, প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিঃসন্দেহে ‘সমিতি’র ক্ষমতা বেশি ছিল। 


■ বৈদিক সভ্যতার ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য : 


● (১) প্রকৃতি পূজা প্রচলন : ঋক্- বৈদিক যুগের ধর্মীয় জীবনের প্রধান দিকটি হল প্রকৃতি পূজার প্রচলন। প্রাকৃতিক বিভিন্ন শক্তিকে এযুগে দেবদেবী জ্ঞানে উপাসনা করা হত। উপাস্য দেবদেবীর মধ্যে ছিলেন পৃথিবী, মরুৎ, রুদ্র, অগ্নি, ঊষা, ইন্দ্ৰ, সূর্য প্রভৃতি। প্রকৃতপক্ষে আর্যরা বহু দেবদেবীর অস্তিত্বে বিশ্বাসী থাকলেও আর্য ধর্মমতে মাতৃদেবতার তুলনায় পুরুষ দেবতাদের লক্ষণীয় প্রাধান্য দেখা যায়। 


● (২) যাগযজ্ঞ : ঋকবেদের যুগে বহু দেবদেবীর উপাসনা প্রচলিত থাকলেও মূর্তি পূজার চল ছিল না। যজ্ঞ অনুষ্ঠান ছিল ধর্মচর্চার প্রধান অনুসঙ্গ। সাধারণত যজ্ঞের মাধ্যমে দেবতাদের খুশি করে তাঁদের কাছ থেকে বর প্রার্থনা করাই ছিল এইসব যজ্ঞানুষ্ঠানের একমাত্র উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post