সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের সামাজিক জীবন | Social Life of the Gupta Period . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের সামাজিক জীবন | Social Life of the Gupta Period।
গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের সামাজিক জীবন | Social Life of the Gupta Period
❏ গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগের সামাজিক জীবন (Social life of the Gupta period):
■ সমাজ জীবন : গুপ্তযুগে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মের বিশেষ করে, ব্রাত্মণ সমাজের প্রতিক্রিয়া তীব্র আকার ধারণ করেছিল। এর ফলে সামাজিক বর্ণবিভাগ এবং সমাজজীবনে ব্রাত্মণদের প্রাধান্যের ওপর আগের তুলনায় আরও বেশি জোর দেওয়া হয়। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম ভারতে বহু সংখ্যায় বিদেশি অনুপ্রবেশের ফলে ভারতীয় সমাজজীবনে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে অবশ্য এই বিদেশিদের ব্রাত্য ক্ষত্রিয় হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতি সমস্যার আংশিক সমাধান করা হয়।
অন্যদিকে, গুপ্তযুগে ভারতের সঙ্গে সমুদ্র পথে বৈদেশিক বাণিজ্যের বিশেষ প্রসার ঘটলেও তৎকালীন ব্রায়ণ প্রভাবিত স্মৃতিশাস্ত্রগুলোতে সমুদ্র বাণিজ্যের এই প্রসারকে প্রত্যক্ষভাবে বর্ণনা করা হয় নি। সেখানে সমুদ্রযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছিল এবং এই জন্য প্রায়শ্চিত্তের বিধান দেওয়া হয়েছিল। এইসব ধর্মীয় নিষেধের ফলে বৈশ্য সম্প্রদায়ের বাণিজ্যসম্পদ ও অর্থনৈতিক শক্তি সংকুচিত হওয়ায় পরোক্ষভাবে এই নিষেধাজ্ঞা ব্রাহ্মণদের সাহায্য করেছিল। এক কথায় ইতিপূর্বে বৈশ্যদের যে দুর্দশার সূচনা হয়েছিল গুপ্তযুগে তার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়।
কৃষি ও কারুশিল্পের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই যুগে শূদ্রদের আর্থিক অবস্থা আগের মতো অতটা খারাপ ছিল না। প্রকৃতপক্ষে, গুপ্তযুগে দরিদ্র বৈশ্য ও শূদ্রের সামাজিক অবস্থানের মধ্যে কোনও বিশেষ পার্থক্য ছিল না।
সমাজ ব্যবস্থায় অস্পৃশ্যদের আবির্ভাবও এই যুগে ঘটেছিল। অস্পৃশ্যরা ছিল বর্ণব্যবস্থা এবং সমাজ কাঠামোর একেবারে নিম্নস্তরে। ফা-হিয়েন লিখেছেন যে, খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকের গোড়ার দিকে অস্পৃশ্য চণ্ডালরা নগরের বাইরে বাস করতো এবং নগরে প্রবেশের সময় বিশেষ শব্দ করে সবাইকে সতর্ক করে দিত। এইসব চণ্ডালরা ছাড়া শবর, কিরাত প্রভৃতি আদিম উপজাতিরা ইন্দো-আর্য সমাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সমকালীন হর্ষচরিত, দশকুমার চরিত্র প্রভৃতি গ্রন্থে এদের বেশভূষা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আচার-আচরণ প্রভৃতির বর্ণনা পাওয়া যায়। গুপ্তযুগে জাতি বলতে অর্থনৈতিক স্বার্থের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ছোটো ছোটো গোষ্ঠীকে বোঝাতে। এযুগে বর্ণের মতো জাতিও ছিল বংশানুক্রমিক। গুপ্তযুগে জাতিভেদ সম্পর্কে কোনও কঠোর নিয়ম না থাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজাতির মানুষের পক্ষে অন্য জাতির বৃত্তি গ্রহণ করা সম্ভব ছিল।
পরিশেষে বলা যায় যে, গুপ্তযুগেও সমাজে ব্রাত্মণ এবং ক্ষত্রিয়ের স্থান ছিল সর্বোচ্চ স্তরে। এই যুগে কোনো কোনো ব্রাক্ষ্মণ অব্রায়ণোচিত বৃত্তি গ্রহণ করলেও বেশিরভাগ ব্রাহ্ণণই ধর্মীয় ও সাহিত্য কর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন এবং সমাজে কিছু বিশেষ সুবিধা ভোগ করতেন। কোনো অপরাধেই তাঁদের প্রাণদণ্ড দেওয়া অথবা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হত না। সমকালীন যুগের কাত্যায়নস্মৃতি থেকে জানা যায় যে, সেযুগে ব্রাহ্মণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল নির্বাসন। ক্ষত্রিয়রাও তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য সমাজে মর্যাদার পাত্র ছিলেন। সাধারণভাবে এই দুই উচ্চবর্ণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও কোনো কোনো সময় এর ব্যতিক্রমও ঘটতো।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF