ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities

 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities।




ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ-সংস্কারমূলক কার্যাবলী | Ishwarchandra Vidyasagar Social-Reform Activities

❏ ভূমিকাঃ- উনিশ শতকের বাংলার সমাজ- সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। যদিও তিনি ছিলেন সংস্কৃত ভাষার সুপন্ডিত, তবুও তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করতে দ্বিধা করতেন না। পাশ্চাত্যের শ্রেষ্ঠ চিন্তাধারার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সমাজ-সংস্কার এবং শিক্ষা প্রসারে তিনি সারাজীবন নিরলস সংগ্রাম চালিয়েছেন।


❏ সমাজ-সংস্কারঃ- বিদ্যাসাগর সমাজ-সংস্কারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। নিপীড়িত নারীজাতির মুক্তির লক্ষ্যে তিনি আজীবন চেষ্টা করে গেছেন।

❏ বিধবাবিবাহ প্রচলনঃ- হিন্দু-বিধবাদের অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট ও তাদের ওপর পরিবার ও সমাজের অকারণ নির্যাতন তাঁকে গভীরভাবে ব্যথিত করে। তিনি হিন্দুশাস্ত্র, পরাশর সংহিতা প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করে দেখালেন যে, শাস্ত্রে হিন্দু-বিধবাদের পুনর্বিবাহের বিধান আছে।


এছাড়া মানবতার কারণেও তিনি বাল্যবিধবাদের পুনর্বিবাহের আবেদন জানান। এ কারণে তিনি ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’ নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। এজন্য তাঁকে অনেক বিদ্রূপ ও অপমান সহ্য করতে হয়েছিল। অবশেষে তাঁর এই আন্দোলন সফল হয়। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই বড়োলাট লর্ড ক্যানিং বিধবাবিবাহকে আইনসিদ্ধ অর্থাৎ, বৈধ বলে আইন পেশ করেন (অবশ্য লর্ড ডালহৌসি এই আইন প্রণয়ন করেছিলেন)। ওই বছরের ৭ ই ডিসেম্বর তিনি প্রথম বিধবাবিবাহ দেন শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও কালীমতি দেবীর মধ্যে। তিনি নিজের ছেলেকেও বিধবার সঙ্গে বিবাহ দিয়েছিলেন।


❏ অন্যান্য সমাজ-সংস্কার প্রচেষ্টাঃ- এছাড়া বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কুলীন প্রথা, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা প্রভৃতি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি জনমত সংগঠিত করেন। তিনি ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ নামক একটি প্রবন্ধে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বহুবিবাহ প্রথার বিরোধিতা করে দুটি পুস্তক রচনা করেন। তিনি বহুবিবাহ বন্ধে আইন প্রণয়ন করার জন্য চেষ্টা করলেও সে সময়ে সামাজিক মহাবিদ্রোহ শুরু হওয়ায় তাঁর চেষ্টা সফল হয়নি।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post