অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression

অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression
অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression।




অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব | Scientist Darwins Theory of Expression

❏ অভিব্যক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্ব  (Scientist Darwins Theory of Expression):- 

ডারউইনের অভিব্যক্তি সম্পর্কে যে মতবাদ প্রকাশ করেন, সেই মতবাদকে ডারউইনবাদ বা প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বলা হয়। 1959 খ্রিস্টাব্দে ‘Orgin of Species by means of Natural Selection' নামক এক গ্রন্থে ডারউইন তাঁর মতবাদগুলি প্রকাশ করেন।


❏ ডারউইনবাদের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি হল:-

1. অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি:- ডারউইনের মতে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই হল জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

2. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম:- জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটার জন্য এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় বেঁচে থাকার জন্য জীবকে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এই রকম সংগ্রামকে ‘অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' আখ্যা দিয়েছেন। জীবকে তিনটি পর্যায়ে এই সংগ্রাম করতে হয়, যথা :

 
● (i) অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, অর্থাৎ একই প্রজাতিভুক্ত বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে সংগ্রাম।

● (ii) আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, অর্থাৎ যে কোনও দুই বা ততোধিক প্রজাতির মধ্যে সংগ্রাম।

● (iii) প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম।


3. ভ্যারিয়েশান বা ভেদ বা প্রকরণ:- ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে যে কোনও দুটি জীব কখনই অবিকল একই রকমের হতে পারে না। অর্থাৎ জীবের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য বা ভেদ অবশ্যই থাকবে। ডারউইনের ধারণা অনুসারে ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই হল নতুন প্রজাতির জীবের উৎপত্তির জন্য দায়ী।

4. যোগ্যতমের উদ্বর্তন:- ডারউইনের মতে, যে সমস্ত প্রকরণ বা ভেদ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে এবং তাদের উদ্বর্তন ঘটবে। অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্তর পথে চলে যাবে।


5. প্রাকৃতিক নির্বাচন:- যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা অন্যান্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলা হয়। অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যধিক হারে বংশবিস্তার করে। প্রাকৃতিক নির্বাচন এক্ষেত্রে চালুনির মতো কাজ করে এবং সবচেয়ে উন্নত ও যোগ্যতম বংশধরকে ধরে রাখে।


অপরপক্ষে, প্রতিকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয় না বলে পরাজিত সৈনিকের মতো ধীরে ধীরে অবলুপ্তর পথে চলে যায়।

6. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি:- একটি বিশেষ জীবগোষ্ঠীর মধ্যে অনুকূল প্রকরণগুলি পুঞ্জীভূত হওয়ায় জীবের পূর্বপুরুষ ও উত্তরপুরুষের মধ্যে অনেক বেশি বৈসাদৃশ্য দেখা দেয় এবং এরই ফলে কালক্রমে একটি নতুন প্রজাতি উৎপত্তি লাভ করে। বিবর্তনের ফলস্বরূপ জীবজগতে নতুন প্রজাতির জন্ম হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post