বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar

বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar
বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar।




বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল | Causes and Consequences of Battle of Buxar

❏ বক্সারের যুদ্ধ (Battle of Boxer): পাটনা দখলের ফলে ইংরাজদের সঙ্গে মীরকাশিমের যুদ্ধ বেধে যায়। কিন্তু তিনি কাটোয়া, গিরিয়া ও উদয়নালার যুদ্ধে পরপর পরাস্ত হন। ইংরেজরা মুঙ্গের দখল করে পাটনার দিকে অগ্রসর হলে মীরকাশিম অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌল্লার সাহায্যপ্রার্থী হন। অযোধ্যার নবাব ও মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ্-আলম যুগ্মভাবে মীরকাশিমকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। 

কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে (১৭৬৪ খ্রিঃ) ইংরেজ সেনাপতি হেক্টর মুনরো -র কাছে মোগল সম্রাট শাহ্ আলম, অযোধ্যার নবাব সুজা উদ্-দৌল্লা এবং বাংলার নবাব মীরকাশিমের যুগ্মবাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। মীরকাশিম পালিয়ে যান এবং দীর্ঘ দিন পলাতক জীবন যাপনের পর অবশেষে ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।


❏ বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল (Results of the Battle of Boxer): বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে বক্সারের যুদ্ধ ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ:

● (১) পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাবের সঙ্গে ইংরেজ কোম্পানির যে সংঘর্ষের সূচনা হয়, বক্সারের যুদ্ধে তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঘটেছিল। বক্সারের যুদ্ধ পলাশির যুদ্ধের মতো একটি প্রহসন মাত্র ছিল না, এখানে সম্মুখ যুদ্ধে ইংরেজরা ভারতীয় পক্ষকে পরাজিত করে। এই যুদ্ধে জয়লাভ ভারতীয়দের তুলনায় ইংরেজদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে । ঐতিহাসিক স্মিথ এর মতে, ‘পলাশি ছিল কয়েকটি কামানের লড়াই, বক্সার ছিল চূড়ান্ত বিজয়’ (Plassey was cannonade, but Buxer was a decisive battle)। অর্থাৎ, পলাশী ছিল একটি খণ্ড-যুদ্ধ মাত্র, যেখানে ইংরেজদের প্রকৃত শক্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় নি, কারণ সেখানে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা জয়যুক্ত হয়েছিল মাত্র কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজজের সাফল্য ছিল প্রত্যক্ষ ও চূড়ান্ত।


● (২) বক্সারের যুদ্ধের ফলেই বাংলার স্বাধীন নবাবীর অবসান ঘটেছিল। এই সময় থেকে বাংলার নবাবের পক্ষে ইংরেজ-বিরোধিতার সুযোগ রইল না।

● (৩) পলাশির যুদ্ধে একমাত্র বাংলার নবাবের পরাজয় ঘটেছিল, কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে বাংলার নবাব, অযোধ্যার নবাব ও মোগল সম্রাট একসঙ্গে পরাস্ত হন। সুতরাং বাংলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত সমগ্র উত্তর ভারত ইংরেজ কোম্পানির করতলগত হয়।

● (৪) বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের সামরিক দক্ষতার তুলনায় ভারতীয় রাজাদের সামরিক দুর্বলতা প্রতিপন্ন হয়।

● (৫) বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে পলাশির যুদ্ধের চেয়ে বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল ছিল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বক্সারের যুদ্ধের পর কোম্পানি বৃদ্ধ মীরজাফরকে আবার সিংহাসনে বসায়। এবারও মীরজাফরের কাছ থেকে কোম্পানি ও তার কর্মচারীদের জন্য প্রচুর অর্থ আদায় করা হয়। বক্সারের যুদ্ধ বাংলায় ইংরেজ শক্তির অভ্যুত্থান সূচনা করে। কারণ, নানান শর্ত আরোপ করে পুনর্বাসিত নবাব মীরজাফরের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে তাঁকে একান্তভাবে ব্রিটিশদের মুখাপেক্ষী করে তোলা হয়। মীরজাফরের মৃত্যুর পর কোম্পানি তাঁর নাবালক পুত্র নাজিম-উদ-দৌল্লাকে সিংহাসনে বসালে বাংলার সব ক্ষমতাই কোম্পানির হাতে এসে পড়ে।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Post a Comment

Previous Post Next Post