বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal

বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal
বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal।




বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ | Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal

❏ বাংলার সেন বংশের রাজাদের বিবরণ (Description of the kings of the Sena Dynasty of Bengal):-

পালযুগে বাংলা একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু তাঁদের পতনের পর বাংলায় যে রাজনৈতিক অনৈক্য ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তা দূর করে সামন্ত সেনের পৌত্র বিজয় সেন বাংলায় একটি অখণ্ড শক্তিশালী রাজ্য স্থাপন করেছিলেন।


■ [১] বল্লাল সেন (১১৫৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দ) : বিজয় সেনের পর তাঁর পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে বসেন। পিতার মতো বল্লাল সেনও রাজ্যবিস্তারে প্রবৃত্ত হন। ‘বল্লাল-চরিত’ নামক গ্রন্থে বল্লাল সেনের মগধ ও মিথিলা জয়ের কথা জানা যায়। বল্লালসেনের রাজ্য পশ্চিমে মগধ ও মিথিলা থেকে পূর্ববঙ্গ পর্যন্ত এবং উত্তরে দিনাজপুর ও বগুড়া থেকে দক্ষিণে সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 


এই সুবিস্তৃত রাজ্যের অনেক জায়গায় বল্লালের কীর্তি আজও বিদ্যমান। সামরিক খ্যাতি ছাড়াও বল্লাল সেনের সমাজ-সংস্কারক হিসাবেও খ্যাতি ছিল। 'দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুত-সাগর’ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করে তিনি সমকালীন পণ্ডিতসমাজে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। অনেকে মনে করেন যে, বল্লাল সেন বাংলায় কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তন করেন। কিন্তু এই অনুমান বর্তমান ইতিহাসবিদরা সত্যি বলে মনে করেন না।


■ [২] লক্ষ্মণ সেন (১১৭৯-১২০৬ খ্রিস্টাব্দ) : বল্লাল সেনের পুত্র লক্ষ্মণ সেনকে বাংলার শেষ স্বাধীন হিন্দু নরপতি বলা যায়। গৌড়, কামরূপ, কলিঙ্গও কাশীররাজারা তাঁর প্রভুত্ব স্বীকার করেছিলেন। এলাহাবাদ ও বারাণসী পর্যন্ত তিনি সমর অভিযান চালান। কিন্তু রাজত্বের শেষ ভাগে তাঁর সামরিক শক্তি হীনবল হয়ে পড়ে। দ্বাদশ শতকের শেষভাগে ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবকের সেনাপতি ইখতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খল্জী অতর্কিতে লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী নদীয়া আক্রমণ করেন। কিন্তু এই আক্রমণের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ গড়ে না তুলে বিনা প্রতিরোধে লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গে পালিয়ে যান। সেখানেই ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু ঘটে।


■ [৩] সেন বংশের পতন : লক্ষ্মণ সেনের পর সেন বংশ পূর্ব ও দক্ষিণবঙ্গে আরও পঞ্চাশ বছর ক্ষমতাসীন ছিল। তবে তাঁর দুর্বল বংশধরেরা আত্মকলহে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সেন রাজ্য ভাঙনের সম্মুখীন হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় একাধিক স্বাধীন রাজ্য গড়ে উঠে। ত্রয়োদশ শতকে সমগ্র বাংলায় মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post