সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের বিবরণ | Rashtrakuta kings in the Deccan . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের বিবরণ | Rashtrakuta kings in the Deccan।
দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের বিবরণ | Rashtrakuta kings in the Deccan
❏ দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূট বংশের রাজাদের বিবরণ (Rashtrakuta kings in the Deccan):-
অষ্টম শতকের মধ্যভাগে চালুক্য বংশের উচ্ছেদ করে রাষ্ট্রকূটরা দক্ষিণ-ভারতে প্রাধান্য স্থাপন করে। সম্ভবত, রাষ্ট্রকূটরা প্রথমে চালুক্য রাজবংশের অধীনে সামন্ত ছিল এবং তাদের ভাষা ছিল কানাড়ী। রাষ্ট্রকুট বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দন্তিদুর্গ। তিনি মহারাষ্ট্র, কাশী, কলিঙ্গ, মালব, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও বেরারে নিজের প্রভুত্ব স্থাপন করেছিলেন। তাঁর শক্তিবৃদ্ধিতে ভীত হয়ে চালুক্য-রাজ দ্বিতীয় কীর্তিবর্মন দস্তিদুর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু এই যুদ্ধে চালুক্যরাজ পরাস্ত হলে (৭৫৩ খ্রিঃ) দস্তিদুর্গ মহারাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করেন।
■ [১] প্রথম কৃষ্ণ : দন্তিদুর্গের পর তাঁর পুত্র প্রথম কৃষ্ণ সিংহাসনে বসেন (৭৫৮-৭৩ খ্রিঃ)। প্রথম কৃষ্ণ চালুক্যরাজ দ্বিতীয় কীর্তিবর্মণকে পরাস্ত করলে বাতাপির চালুক্য সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে। প্রথম কৃষ্ণের আমলে ইলোরার কৈলাসনাথের মন্দিরটি তৈরি হয়।
■ [২] দ্বিতীয় গোবিন্দ এবং ধ্রুব : প্রথম কৃষ্ণের পর তাঁর পুত্র দ্বিতীয় গোবিন্দ সিংহাসনে বসেন (৭৭৩-৮০ খ্রিঃ)। কিন্তু তাঁর অযোগ্যতার সুযোগে কনিষ্ঠ ভ্রাতা ধ্রুব সিংহাসন দখল করেন। সিংহাসনে বসেই ধ্রুব রাজ্যবিস্তারে বেরিয়ে পড়েন। মহীশূরের গঙ্গা-বংশীয় রাজা, বেঙ্গীর চালুক্য-রাজ ও পল্লব-রাজাকে পরাস্ত করে তিনি সমগ্র দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রকৃতপক্ষে ধ্রুবের রাজত্বকালেই রাষ্ট্রকূট শক্তি প্রবল হয়ে ওঠে।
■ [৩] তৃতীয় গোবিন্দ (৭৯৩-৮১৪ খ্রিস্টাব্দ) : ধ্রুবর পর তৃতীয় গোবিন্দ সিংহাসনে বসেন। রাজত্বের প্রথম দিকে তাঁকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত থাকতে হয়। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন করার পর তৃতীয় গোবিন্দ রাজ্যজয়ে উদ্যোগী হন। পল্লব-রাজ দন্তি-বর্মন এবং বেঙ্গী-রাজ চতুর্থ বিষ্ণুবর্মন একরকম বিনা যুদ্ধেই তৃতীয় গোবিন্দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। এরপর তিনি উত্তর ভারতে প্রভুত্ব বিস্তারে ব্রতী হয়ে মালব, কোশল, কলিঙ্গ, বেঙ্গী প্রভৃতি রাজ্যগুলি রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের অধিকারে আনেন।
■ [৪] তৃতীয় কৃষ্ণ (৯১৪-২২ খ্রিস্টাব্দ) : রাষ্ট্রকূট বংশের শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা ছিলেন তৃতীয় কৃষ্ণ। উত্তর-ভারতে তিনি বুন্দেলখন্ড, মালব ও উজ্জ্বয়িনী জয় করেন। দক্ষিণ-ভারতে তিনি চোল, পাণ্ড্য, কেরল প্রভৃতি রাজ্যের রাজাদের পরাস্ত করে রামেশ্বর সেতুবন্ধে তাঁর বিজয়স্তম্ভ বসান। রাষ্ট্রকূট রাজ তৃতীয় কৃষ্ণকে প্রকৃতপক্ষে সমগ্র দাক্ষিণাত্যের সর্বাধিনায়ক বলা যায়। এমনকি সিংহলের রাজাও তৃতীয় কৃষ্ণের বশ্যতা স্বীকার করে উপঢৌকন পাঠিয়েছিলেন।
তৃতীয় কৃষ্ণের পর রাষ্ট্রকূট বংশের গৌরব অস্তমিত হতে থাকে এবং একে একে প্রদেশগুলি স্বাধীন হয়ে যায়। অবশেষে ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে কল্যাণের চালুক্য রাজার কাছে এই বংশের শেষ রাজা চতুর্থ অমোঘবর্ষ পরাস্ত হলে রাষ্ট্রকূট বংশের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF