একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal

একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal
একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal।




একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি | Famous Places in West Bengal

❏ একনজরে পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি (Famous Places in West Bengal):-


■ শিলিগুড়ি — উত্তরবঙ্গের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শহর। একে ‘উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ বলা হয় কারণ ভারতের উত্তরপূর্বাংশে যেতে হলে এখান দিয়েই যেতে হয়। বর্তমানে এটি একটি শিল্পনগরীতে পরিণত হয়েছে। এখানে কাঠ চেরাই, কাঠের আসবাবপত্র তৈরি, প্যাকিং বাক্স, চায়ের পেটি প্রভৃতি শিল্প গড়ে উঠেছে। এখানে চা নিলামের কেন্দ্রও আছে। 


■ আলিপুরদুয়ার – জলপাইগুড়ি জেলায় কালজানি নদীর পূর্ব দিকে কোচবিহার জেলার সীমানার নিকট অবস্থিত রেল জংশন, মহকুমা শহর এবং বাণিজ্যকেন্দ্র। 


■ জলদাপাড়া – বর্তমানে ডুয়ার্স অঞ্চলের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এখানে একটি অভয়ারণ্য আছে। অভয়ারণ্যটি প্রায় 100 বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। একশৃঙ্গী গল্ডার এখানকার বিশেষ বন্যপ্রাণী। জলদাপাড়ার কাছে চিলাপাতার জঙ্গলে গুপ্তযুগের লরাজার গড় রয়েছে, কিন্তু জঙ্গলাকীর্ণ অবস্থায়। 


■ জলপাইগুড়ি — তিস্তা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত এবং জলপাইগুড়ি জেলার সদর শহর। এটি একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। চা এখানকার প্রধান বাণিজ্য পণ্য। চায়ের পেটি তৈরি করার জন্য এখানে প্লাইউড শিল্প গড়ে উঠেছে। 


■ কোচবিহার— তোর্সা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত এবং কোচবিহার জেলার সদর শহর। স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বে কোচবিহার জেলাটি কোচ রাজাদের দেশীয় রাজ্য ছিল৷ কোচবিহার শহরটি উত্তরবঙ্গের ব্যবসা - বাণিজ্যের কেন্দ্র ও শিক্ষাকেন্দ্র। 


■ রায়গঞ্জ — উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর, কুলিক নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত। কুলিক নদীর পাড়ে কুলিক পক্ষীরালয় আছে।


■ বালুরঘাট — আত্রাই নদীর তীরে অবস্থিত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর। শহরটি বাংলাদেশ সীমান্তের নিকট অবস্থিত। 


■ মালদহ — মহানন্দা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক নগরী। মালদহের উত্তর দিকে পাণ্ডুয়া। 1680 সালে রেশম কারবারের সুবিধার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মহানন্দা নদীর পশ্চিম পাড়ে একটি গ্রাম কেনে, নাম হয় ইংলিশবাজার বা ইংরেজবাজার। ইংরেজ বাজারের দক্ষিণ দিকে গৌড়। মালদহ মিউজিয়াম -এ গৌড় ও পাণ্ডুয়ার বহু প্রত্ন-তত্ত্বের নিদর্শন রয়েছে। মালদহে পূর্ব রেলের সপ্তম বিভাগীয় সদর স্থাপিত হয়েছে। 


■ ফরাক্কা — গঙ্গার তীরে মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত। এখান থেকেই গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি হয়েছে এবং মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার মধ্যে সংযোগসাধন করেছে। মুঘল যুগে এর নাম ছিল ফারাক্কাবাদ। ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণের সময় মাটি কাটতে গিয়ে এখানে বহু প্রত্ন-তাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। 


■ শান্তিনিকেতন — এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আছে।


■ বর্ধমান — রাঢ় অঞ্চলের সর্বপ্রধান শহর, দামোদর নদের নিকট অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এখানকার সীতাভোগ ও মিহিদানা বিখ্যাত। 


■ হাওড়া — হাওড়া জেলার সদর শহর, হুগলি নদীর দক্ষিণতটে অর্থাৎ পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত, অপর পাড়ে কলকাতা। হাওড়া কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ) ছাড়া বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু) -র দ্বারাও যুক্ত। ‘রজ্জ্বনির্ভর সেতু’ (cable-stayed bridge)। হাওড়া নানাপ্রকার শিল্পের কেন্দ্র । হাওড়াকে ভারতের গ্লাসগো বলা হয়। নিকটেই শিবপুরে পৃথিবীবিখ্যাত বোটানিক্যাল গার্ডেন (স্থাপিত 1787 সাল) এবং বেলুড় -এ বেলুড় মঠ আছে।


■ মেদিনীপুর – পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর। এখানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আছে।


■ তমলুক — পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর, রূপনারায়ণ নদের অদূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক বন্দরনগরী (তাম্রলিপ্ত)। এখানে বর্গভীমা মন্দিরে প্রাচীন তারামূর্তি রয়েছে। হাওড়া-দিঘা রেল প্রকল্পের অন্তর্গত 85 কিমি দীর্ঘ তমলুক - দিঘা রেল সংযোগের কাঁথি পর্যন্ত 55 কিমি দীর্ঘ রেলপথ তৈরি হয়ে গেছে, ট্রেন-চলাচল চালু হয়েছে। এদের মধ্যবর্তী স্টেশনগুলি হল নন্দকুমার লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক, দেশপ্রাণ, নাচিন্দা প্রভৃতি। 


■ বহরমপুর — মুর্শিদাবাদের জেলার সদর শহর, ভাগীরথী নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত, ঐতিহাসিক নগরী। এখানে নবাব সিরাজউদদৌলার আমলের বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। (কৃষ্ণনগর — নদীয়া জেলার সদর শহর, জলঙ্গী নদীর তীরে অবস্থিত। কৃষ্ণনগর যেমন মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত, তেমনই এখানকার সরভাজা ও সরপুরিয়া বিখ্যাত। 


■ বারাসাত — উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সদর শহর। 


■ আলিপুর – কলকাতা জেলার দক্ষিণদিকে অবস্থিত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সদর দপ্তর এখানেই। 


■ খেজুরি — পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থিত এই স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে চেষ্টা চলছে। এখানকার সৈকত ভালো, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম। এখানেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম বন্দর গড়ে উঠেছিল। 1772 সালে ভারতের প্রথম টেলিগ্রাফ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল, 1830 সালে রাজা রামমোহন রায় এখান থেকেই ইংল্যান্ড যাত্রা করেছিলেন।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post