রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali | বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | World Poet Rabindranath Tagore | কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali।




রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী | Rabindranath Tagore Biography in Bengali

❏ ভূমিকা:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ তম সন্তান। কলকাতার এই বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা।


১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতার মৃত্যু ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই কলকাতার বাইরে কাটাতেন। তাই ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল বাড়ির ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। 


কিন্তু তিনি বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক দ্বারা তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাঙ্গালী কবি, নাট্যকার, গল্পকার, চিত্রকর, অভিনেতা, দার্শনিক, অভিনেতা, ছোটো গল্পকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কবিগুরু, বিশ্বকবি বিভিন্ন নামে ভূষিত করা হয়ে থাকে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ  করেন। 

❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচিত:-

সম্পূর্ণ নাম ➤ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জন্ম ➤ ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ / ইং- ৭ই মে ১৮৬১,

জন্মস্থান ➤ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কোলকাতা (7th May 1861, Jorasanko Thakurbari, Kolkata)

পিতা ➤ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

মাতা ➤ সারদাসুন্দরী দেবী

ছদ্দনাম  ➤ ভানুসিংহ (Vanusingh)

দাম্পত্যসঙ্গী ➤ মৃণালিনী দেবী

মৃত্যু ➤২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ / ইং- ৭ই আগস্ট ১৯৪১ (7th August, 1941)

মৃত্যু স্থান ➤ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কোলকাতা

❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম পরিচয়:-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়েছিল ১৮৬১ খ্রি: ৭ই মে। বাংলার ১২৬৮ সালের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর এক অভিজাত ব্রাহ্মন (ঠাকুর) পরিবারে। উনিশ শতকের সাহিত্য-সংস্কৃতির এক প্রকারের পীঠস্থান ছিল এই ঠাকুর পরিবার। 


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মাতার পরিচয়:-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম সারদা দেবী, তিনি ছিলেন একজন স্নেহময়ী মহিলা। রবীন্দ্রনাথের পিতামহের নাম ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি একজন বিত্তশালী জমিদার ও জনহিতৈষী ছিলেন। ঠাকুর পরিবারের শিক্ষা – দীক্ষা, মার্জিত সাংস্কৃতিক চেতনা ও পিতার আলােকিত ধর্মবিশ্বাস কবির মধ্যে স্পষ্ট ছাপ ফেলেছিল। 


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশবকাল:-

শিশুকাল থেকেই অন্যান্য সন্তানদের মতাে রবীন্দ্রনাথ অভিজ্ঞ পরিচারকদের দ্বারা লালিত – পালিত হয়েছিলেন। একজন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এবং কয়েকজন গৃহশিক্ষকের কাছে তার প্রাথমিক বিদ্যালাভ শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন স্কুলেও পড়েন কিছুদিন। কিন্তু স্কুলের বাঁধাধরা নিয়ম ও আবহাওয়া তার মনঃপুত না হওয়ায় বাড়িতেই পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য। বাড়িতেই বিশ্ববিদ্যার সকল দুয়ার তার সম্মুখে উন্মুক্ত হয়ে যায়।

শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর এবং পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা:-

১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বেরিয়ে যান। প্রথমে তারা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেছিলেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ গ্রহণ করতে শুরু করেন। অল্প বয়স থেকেই রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভার উন্মেষ হতে শুরু করে। কিশাের কাল থেকেই শুরু হয় তাঁর নিরবচ্ছিন্ন কাব্যচর্চা। মাত্র তেরাে বছর বয়সেই তার প্রথম কবিতা ছাপা হয় তত্ত্ববােধিনী পত্রিকায়।


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাল্যজীবনের রচনাবলী:-

১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে তার প্রথম বই ‘কবিকাহিনী’ প্রকাশিত হয়। তারপর একে একে প্রকাশিত হতে থাকে সন্ধ্যাসঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত, ছবি ও গান, কড়ি ও কোমল, মানসী, সােনার তরী প্রভৃতি কাব্যসমূহ।

১৯১২ সালে গীতাঞ্জলি কাব্য গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় লন্ডনের ইন্ডিয়া সােসাইটি থেকে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতীচ্যের বিদগ্ধ সমাজে সাড়া পড়ে যায়। আইরিশ কবি ডব্লিউ.বি.ইয়েস ইংরেজি গীতাঞ্জলির ভূমিকা লেখেন।


১৯১৫ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশরাজ কবিগুরুকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৯ খ্রীঃ জালিওয়ালাবাগে নিরস্ত্র ভারতীয়দের ব্রিটিশ সৈন্যরা নির্মমভাবে হত্যা করলে তার প্রতিবাদ স্বরূপ তিনি ‘নাইট’ উপাধি পরিত্যাগ করেন।

❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মজীবন:-

ভারতী পত্রিকায় ১৮৭৭ সালে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশ হয়। সেগুলীর মধ্যে ছিল 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী', 'মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা' আর 'ভিখারিণী' ও 'করুণা' নামে দুটো সুন্দর ছোটগল্প। এগুলোর মধ্যে 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায়।

এরপর ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ “কবিকাহিনী”। এছাড়াও পরে তিনি রচনা করেছিলেন “সন্ধ্যাসংগীত” নামক আরেকটি কাব্যগ্রন্থ। “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ” নামে লেখাটি তাঁর সেই বিখ্যাত কবিতা এই কাব্যগ্রন্থেরই অন্তর্গত ছিল।


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিবাহজীবন:-

ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আশার পর, অবশেষে ১৮৮৩ সালে ৯ই ডিসেম্বর তারিখে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হয় বেণীমাধব রায়চৌধুরী নামে ঠাকুরবাড়ির এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে। বিবাহেরপ সময় ভবতারিণীর পুণরায় নামকরণ করা হয় এবং তাঁর নাম বদলে রাখা হয় মৃণালিনী দেবী।

পরবর্তীকালে, মৃণালিনী দেবী ও রবীন্দ্রনাথের মোট পাঁচ সন্তান হয় । তাঁদের নাম ছিল যথাক্রমে- মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১),  রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩),  মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)।


কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছিল।

১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ তার গীতাঞ্জলি  কাব্যগ্রন্থের জন্য বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার নােবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনিই নােবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় এবং প্রথম এশিয়াবাসী।

❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবন:-

জীবনের শেষ চার বছর তার কেটেছিল ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা। মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৪১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ই আগষ্ট বিশ্বকবি মহামনীষী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকোয় মহাপ্রয়াণে যাত্রা করেছিলেন। ২৫শে বৈশাখের সূর্য (রবি) ২২শে শ্রাবণের সন্ধ্যায় অস্ত যায়।


❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভ্রমণ:-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট বারো বার বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ যেসকল বইতে তার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে- য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র (১৮৮১), য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি (১৮৯১, ১৮৯৩), জাপান-যাত্রী (১৯১৯), যাত্রী (পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি ও জাভা-যাত্রীর পত্র, ১৯২৯), রাশিয়ার চিঠি (১৯৩১), পারস্যে (১৯৩৬) ও পথের সঞ্চয় (১৯৩৯)।

❏ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম:-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন। তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫২ টি। তবে বাঙালি সমাজে তার জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবেই। রবীন্দ্রনাথ প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা ও গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। তার প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী “রবীন্দ্রনৃত্য” নামে পরিচিত।


❏ শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা:-

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক বছর আগে বোলপুরের শান্তিনিকেতনে, এক বিশাল জমি কিনেছিলেন। সেখানে তিনি ১৮৮৮ সালে একটা আশ্রম ও ১৮৯১ সালে একটা ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

পরবর্তীকালে বাবার সেই কেনা জমিতে রবীন্দ্রনাথ একটা শিক্ষাকেন্দ্র তৈরী করতে চেয়েছিলেন। তাই প্রথমে তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন “পাঠ্য ভবন” নামে একটা স্কুল, যেটা বাকি সব স্কুলের থেকে বেশ আলাদা ছিলো। কারণ সেই স্কুল ছিলো সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নীচে একটা গাছের তলায়।


পরে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি সেই স্কুলকে আরো বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে সেটাকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করেছিলেন। যেটার পরবর্তীকালে নাম রাখেন তিনি “বিশ্বভারতী” যা ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে তিনি আবার ১৯২৪ সালে আরেকটি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেটা ছিলো “শিক্ষা সত্র”। তিনি এই প্রতিষ্ঠান মাত্র ৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরু করেন।

আরও পড়ুন:- মহাত্মা গান্ধীর জীবনী

Previous Post Next Post