সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি পৃথিবীর আবর্তন গতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তর | Earth Rotation Speed Related Questions Answers . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে পৃথিবীর আবর্তন গতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তর | Earth Rotation Speed Related Questions Answers।
পৃথিবীর আবর্তন গতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তর | Earth Rotation Speed Related Questions Answers
❏ পৃথিবীর আবর্তন গতি সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্তর (Earth Rotation Speed Related Questions Answers):-
সূর্য পূর্বদিকে উঠে, পশ্চিমদিকে যেতে যেতে পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায়। আপাতদৃষ্টিতে দেখা সূর্যের এই দৈনিক গতিকেই বলা হয় সূর্যের আপাত দৈনিক গতি। মনে হয়, পৃথিবী স্থির রয়েছে আর সূর্য পৃথিবীর চারদিকে অনবরত পরিক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু তা নয়, রেলগাড়ি যখন চলে তখন গাড়িতে বসে থাকলে যেমন মনে হয় দূরের ঘরবাড়ি, গাছপালা প্রভৃতি স্থির বস্তুগুলি বিপরীত দিকে ছুটে চলেছে, পৃথিবীর বেলাতেও সেই রকমই মনে হয়। আসলে কিন্তু পৃথিবীই নিজ মেরুরেখার উপর প্রায় প্রতি 24 ঘণ্টায় একপাক করে ঘুরে চলেছে।
■ পৃথিবীর আবর্তন গতি :
পৃথিবীর নিজ মেরুরেখার (অক্ষ axis) ওপর পাক খাওয়াটাই হল পৃথিবীর আবর্তন গতি। পৃথিবীর আবর্তন গতিকে ‘দৈনিক গতি’ এবং ‘আহ্নিক গতি’ -ও বলে। ‘দৈনিক গতি’ বলার কারণ — পৃথিবীর একবার আবর্তনে যে সময় লাগে, তাকে ধরা হয় একটি ‘দিন', দিবস বা বার (a day)। তাই পৃথিবীর আবর্তন গতিকে বলা হয় দৈনিক গতি।
■ আবর্তন গতির দিক — পৃথিবী পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করে। তাই আমাদের মনে হয় সূর্য পৃথিবীর আবর্তনের বিপরীত দিকে, অর্থাৎ পূর্ব থেকে পশ্চিমদিকে ঘুরে চলেছে। তাই সূর্যকে পূর্ব দিকে উঠতে ও পশ্চিম দিকে অস্ত যেতে দেখি।
■ আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ বুঝতে পারি না কেন?
[ক] আমরা যেখানে আছি, তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা ঘরবাড়ির সবকিছুই একই সঙ্গে আবর্তন করছে।
[খ] এর ফলে প্রতিটি অচল বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান একই থাকছে অর্থাৎ আমাদের দৃষ্টিতে তাদের স্থানিক পরিবর্তন ঘটছে না। তাই আমরা, পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠে থাকলেও, আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর আবর্তন বেগ বুঝতে পারি না।
■ পৃথিবীর আবর্তন গতি সংক্রান্ত কিছু কথা – একবার পূর্ণ আবর্তন করতে পৃথিবীর সঠিক সময় লাগে 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4-09 সেকেন্ড। পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তন কালকে পৃথিবীর একটি নাক্ষত্র দিন বলে। পৃথিবীর যে-কোনো একটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার ওপর পরপর দুটি মধ্যাহ্ন সূর্য হওয়ার সময়কে বলে সৌরদিন। একটি সৌরদিনের সময় 24 ঘণ্টা।
■ আবর্তন গতির ফলাফল :
দিবারাত্রির সংঘটন ছাড়া পৃথিবীর আবর্তন গতির অন্যান্য ফলাফলগুলি হল—
● আকাশে সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা ইত্যাদি সময় নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
● পৃথিবীর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ইত্যাদি দিক নির্ণয়ের সুবিধা হয়েছে।
● জোয়ারভাটার দৈনিক সময়ের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ারভাটা হয় না।
● বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের দিকবিক্ষেপ ঘটে।
● পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো হয়েছে।
■ পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকলে কী হত?
পৃথিবীর আবর্তন না থাকলে—
● পৃথিবীতে কোথাও পরপর দিবারাত্রি ঘটত না। পৃথিবীর যে অর্ধাংশ সূর্যের সম্মুখে থাকত, সেখানে চির-দিবা হত এবং বিপরীত অর্ধাংশে চির-রাত্রি থাকত, সকাল-সন্ধ্যা হত না।
● পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত হত না।
● এখনকার মতো নিয়তবায়ু বইত না।
■ পৃথিবী পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আবর্তন করলে কী হত?
পৃথিবী পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আবর্তন করলে সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হত এবং পূর্ব দিকে অস্ত যেত।
■ সমগ্র পৃথিবী একসঙ্গে সূর্যালোক পায় না কেন?
আমরা জানি, পৃথিবীর নিজস্ব আলোক নেই, সূর্যের আলোকেই পৃথিবী আলোকিত কিন্তু গোলকের মতো আকৃতির জন্য সব সময় পৃথিবীর কেবল অর্ধেক অংশই সূর্যালোক পেয়ে থাকে, বাকি অর্ধেক অংশ পায় না। যে অর্ধাংশ সূর্যালোক পায়, সেখানে দিন হয়, যে অর্ধাংশ পায় না, তখন সেখানে রাত হয়। এইভাবে পৃথিবীকে দুটি অর্ধাংশে ভাগ করা যায় আলোকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকার অর্ধাংশ।
আলোকিত অর্ধাংশের সীমারেখা ও অন্ধকার অর্ধাংশের সীমারেখা পরস্পর মিলিত হয়ে যে বৃত্ত রচিত হয় তাকে ছায়াবৃত্ত (shadow circle) বলে। যখন কোনো স্থানবিন্দু অন্ধকার দিক থেকে আবর্তন করতে করতে ছায়াবৃত্তে আসে, তখন সেখানে সূর্যোদয় হয় আর যখন আলোকিত অংশ থেকে ছায়াবৃত্তে পৌঁছায় তখন সেখানে সূর্যাস্ত হয়।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF