সুপ্রিয় বন্ধুরা,
Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি চাঁদ বা চন্দ্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Moon Related Questions and Answers . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে চাঁদ বা চন্দ্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Moon Related Questions and Answers।
চাঁদ বা চন্দ্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Moon Related Questions and Answers
❏ চাঁদ বা চন্দ্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর (Moon Related Questions and Answers):-
■ পৃথিবীর উপগ্রহ — চাঁদ
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ, পৃথিবীর সব থেকে কাছের জ্যোতিষ্ক, গড় দূরত্ব মাত্র 3 লক্ষ 84 হাজার 500 কিমি।
● চাঁদের ব্যাস 3476 কিমি, পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় সিকি ভাগ।
● চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রায় — ভাগ অর্থাৎ পৃথিবীতে একলাফে যতটা ওঠা যেতে পারে, চাঁদে তার ছয় গুণ উচ্চতায় ওঠা যায়।
● পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরতে চাঁদের যে সময় লাগে, নিজের অক্ষরেখার উপর একপাক ঘুরতেও সেই একই সময় লাগে, 27 দিন 7 ঘণ্টা 43 মিনিট।
● চাঁদ সূর্যের চেয়ে অনেক ছোটো (সূর্যের ব্যাসের 1/400 ভাগ), কিন্তু চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছে বলে তাকে সূর্যের মতোই বড়ো দেখায়। তার কারণ চাঁদ পৃথিবী থেকে যত দূরত্বে রয়েছে তার প্রায় 400 গুণ দূরত্বে রয়েছে সূর্য।
● পৃথিবীর মতো চাঁদেরও নিজস্ব আলো নেই, সূর্যের আলোতেই তার আলো। সেই আলোরই কিছু অংশ প্রতিফলিত হয়ে এসে পড়ে পৃথিবীতে, তাকে আমরা বলি চাঁদের জ্যোৎস্না বা চাঁদের আলো। চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই। সুতরাং চাঁদে কথা বললে শোনা যায় না। আবহাওয়ারও কোনো ব্যাপার নেই , একমাত্র উষ্ণতা ছাড়া। ঊষা ও গোধূলিও দেখা যায় না।
● চাঁদে যে কালো কালো দাগ দেখা যায়, সেগুলিকে সাধারণভাবে চাঁদের কলঙ্ক বলা হয় – বিজ্ঞানীরা আগে এগুলিকে সমুদ্রবলে মনে করতেন। আসলে চন্দ্রপৃষ্ঠ আগ্নেয়-গিরিবহুল, তাদের দীর্ঘ ছায়াগুলি কালো-কালো দাগরূপে দেখা যায়।
■ চাঁদের সৃষ্টি – কোনো কোনো বিজ্ঞানীর অনুমান, আজ থেকে প্রায় 300 কোটি বছর আগে, অর্থাৎ পৃথিবী গ্যাসীয় থেকে কঠিন অবস্থায় আসার পূর্বেই, পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে একটি বিরাট নক্ষত্র যাওয়ার সময় তার আকর্ষণে পৃথিবীর একটি অংশ আলাদা হয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের ভিন্ন ভিন্ন মতও রয়েছে। যেমন—
❏ একটি মত — দুই মার্কিন বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্টম্যান ও ডোনাল্ড ডেভিস সংঘাত তত্ত্ব (Impact theory) -র কথা বলেন। তাঁদের মতে একটি অতিবৃহৎ গ্রহাণু পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রবল চাপ ও তাপের সৃষ্টি হয়। ফলে গোটা গ্রহাণু এবং পৃথিবীর কিছুটা অংশ বাষ্পে পরিণত হয়ে পরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে চাঁদে পরিণত হয়।
❏ আরেকটি মত – সৌরজগৎ সৃষ্টি হওয়ার পর প্রথম দিকে যখন পৃথিবীর আবর্তন গতি খুব বেশি ছিল, ঘণ্টায় 16 হাজার কিমি – বর্তমান গতির প্রায় 10 গুণ, তখন পৃথিবীর একটি বৃহৎ অংশ ছিটকে গিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে।
● চাঁদ একটি গ্রহ ছিল যা সৌরজগতেই অন্যত্র সৃষ্ট হয়েছিল। পরে কোনোভাবে পৃথিবীর মহাকর্ষ টানে আবদ্ধ হয়ে উপগ্রহে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন মহাকাশ অভিযানে চাঁদ থেকে যেসব শিলাখণ্ড, মৃত্তিকা ইত্যাদি আনা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা সেগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে সেগুলি একই সময়ে সৃষ্ট এবং প্রায় একই রকম উপাদানে গঠিত, অর্থাৎ সৃষ্টি সম্বন্ধে পৃথিবীর সঙ্গে যোগসূত্র আছে।
■ চাঁদ ও পৃথিবীর পারস্পরিক গুরুত্ব :
[i] আমরা দেখি যে চাঁদের আলোকিত অংশ কখনও বৃদ্ধি পায়, কখনও হ্রাস পায়। চাঁদের আলোকিত অংশের এই হ্রাসবৃদ্ধিকে বলা হয় চন্দ্রকলা।
[ii] পৃথিবী যেমন চাঁদ থেকে জ্যোৎস্না পায, চাঁদও পৃথিবী থেকে তেমনই জ্যোৎস্না পায়।
[iii] চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে জল থাকলে পৃথিবীর আকর্ষণে চাঁদেও জোয়ারভাটা হত। তবুও পৃথিবীর টানে চাঁদ কিছুটা আকর্ষিত হয়ই।
[iv] চাঁদের জন্য সূর্যগ্রহণ ঘটে।
[v] পৃথিবীর মহাকাশচারীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে নামলে উপলব্ধি করেন—
● দিগন্ত অনেক কাছে দেখাচ্ছে
● পৃথিবীর মতো অতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল দেখা যাচ্ছে না।
● চন্দ্রপৃষ্ঠ ও দিগন্ত অনেক বেশি বক্র ও ছোটো দেখাচ্ছে।
● চাঁদ থেকে পৃথিবীকে চাঁদরূপেই দেখা যায়, তবে পৃথিবী থেকে চাঁদকে যত বড়ো দেখায়, চাঁদ থেকে পৃথিবীকে তার সাড়ে তিন গুণেরও বেশি বড়ো দেখায়।
আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF