ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly

ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly
ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

Wellcome to www.ajjkal.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ নিয়ে এসেছি ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly . প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার যেমন WBP | WBTET | WBCS | SSC | TET | WBPSC | Food SI | BANK EXAM | All Jobs Exam | রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা | স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি পত্র আপনাদের বিনামূল্যে দিয়ে এসেছি। তাই www.ajjkal.com আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly।




ভারতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভা সম্পর্কে বিস্তারিত | Details Indian Governor Chief Minister Legislative Assembly

❏ রাজ্যপাল: রাষ্ট্রপতি যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, তেমনি রাজ্যের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হলেন রাজ্যপাল। ভারতের রাষ্ট্রপতি কোনও একই ব্যক্তিকে একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন। ভারতের ৩৫ বছরের বেশি বয়েসি যে-কোন ব্যক্তি রাজ্যপাল হতে পারেন। সাধারণভাবে কোনও ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হলেও তার আগেই রাষ্ট্রপতি তাঁকে পদচ্যুত করতে পারেন।

রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের শাসনব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর ওপর রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য মন্ত্রীপরিষদের অন্য সদস্যদেরও নিয়োগ করেন। এছাড়া রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদেরও তিনি নিয়োগ করেন। রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি তাঁর মতামত নেন। রাজ্যের বিধানসভা রাজ্যপালকে নিয়ে গঠিত হয়।

তাঁর অনুমোদন না পেলে রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত কোনো বিলকে আইনে পরিণত করা যায় না। রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন না থাকলে প্রয়োজন হলে রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্স বা অস্থায়ী আইন জারি করতে পারেন যা বিধানসভার অধিবেশন শুরুর ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিধানসভায় অনুমোদন না পেলে বাতিল হয়ে যায়। রাজ্যমন্ত্রীসভা যদি সংবিধান ভঙ্গ করে অথবা বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারালেও পদত্যাগ করতে রাজি না হয়, সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে রাজ্যমন্ত্রীসভাকে বরখাস্ত করতে পারেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাজা মুকুব করতে বা তাকে কমিয়ে দিতে পারেন, তবে মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা প্রদর্শনের এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই। এছাড়া রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয় সরকার তথা রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রপতির শাসনের সুপারিশ করতে পারেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলে রাজ্যপাল উচ্চপদস্থ আমলাদের সাহায্যে স্বাধীনভাবে রাজ্যের শাসনকার্য চালান।

❏ মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ: আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগ কর্তা হলেও বাস্তবে রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ দলের নেতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মতো রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীই হলেন সবচেয়ে ক্ষমতাবান শাসক। অঙ্গরাজ্যের শাসনব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য মন্ত্রীপরিষদে ক্যাবিনেট মন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী, উপমন্ত্রী প্রভৃতি বিভিন্ন মন্ত্রী থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করে দেন। মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীরা তাঁদের কাজের জন্য যৌথভাবে দায়ী থাকেন। তবে সংবিধানের ৩৬৫ ধারা অনুসারে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হলে রাজ্যমন্ত্রী পরিষদের কোনও ভূমিকা থাকে না।

❏ বিধানসভা: ২৫ বছর বা তার বেশি বয়েসি যে-কোন ভারতীয় নাগরিক রাজ্যবিধান সভায় সদস্য হতে পারেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য সংখ্যা হল ২৯৪। সাধারণভাবে বিধানসভার মেয়াদকাল ৫ বছর হলেও রাজ্যপাল প্রয়োজন মনে করলে তার আগেই বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যরা স্পিকার নির্বাচন করেন, বিধানসভা পরিচালনা করা ও বিধানসভার শৃঙ্খলা রক্ষা তাঁর প্রধান কাজ। মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা তাঁদের কাজের জন্য বিধান সভার কাছে যৌথভাবে দায়ি থাকেন। বিধানসভার অনাস্থায় মন্ত্রীপরিষদকে পদত্যাগ করতে হয়।

আরও পড়ুন:- 1000 জেনারেল নলেজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Previous Post Next Post